বাংলার খবর
হস্টেলে প্রতিদিন নাবালিকাকে যৌন নিগ্ৰহের অভিযোগে গ্রেফতার শিক্ষক
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে আবারও নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল। কিছুদিন আগেই কুলতলির এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে নাবালিকা ছাত্রীদের যৌন নিগ্ৰহ করার অভিযোগ উঠেছিল। এবার কুলতলিরই এক হস্টেলের মধ্যে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কুলতুলি থানা এলাকার কেওড়াখালি বিদ্যাসাগর ইনস্টিটিউটে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম রণজিৎ বৈদ্য। হস্টেলের ঘরের মধ্যে ঢুকে নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
গত রবিবার কুলতলি থানায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন নাবালিকার মা। সেই অভিযোগ পাওয়ার পরই রবিবার রাতে অভিযুক্ত শিক্ষক রণজিৎ বৈদ্যকে গ্রেফতার করেছে কুলতলি থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা অজু করা হয়েছে। ধৃতকে সোমবার বারইপুর আদালতে পেশ করা হয়।
নাবালিকার মা অভিযোগ করেছেন, ছ’মাস আগেই তাঁর স্বামীর মৃত্যুর হয়েছে। তাই সংসার চালাতে তিনি পরিচারিকার কাজ করেন। সেই কারণে তিনি সব সময় বাড়িতে থাকেন না। তাই দেখার মতো কেউ না থাকায় তিনি মেয়েকে হস্টেলে রেখেছিলেন। ভেবেছিলেন সেখানে গিয়ে মেয়ে ভালো থাকবে। কিন্তু হস্টেলেও মেয়ের এইরকম অবস্থা হবে, তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। নির্যাতিতার মা অভিযোগ করেছেন, প্রতিদিনই তাঁর মেয়েকে অভিযুক্ত শিক্ষক হস্টেলের ঘরে যৌন নিগ্রহ করতেন। প্রথম দিকে নির্যাতিতা ওই নাবালিকা ছাত্রী তাঁর মাকে কিছু জানায়নি।
কিন্তু, প্রতিদিনই সে তার মাকে হস্টেল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য জোড়াজুড়ি করত। গত রবিবার সে তার মা’কে সব কথা জানায়। মেয়ের কাছ থেকে সব ঘটনা শোনার পর রবিবার রাতেই তিনি ওই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কুলতলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই ঘটনা সম্পর্কে নির্যাতিতা নাবালিকা বলেছে, ‘আমরা তিনজন মেয়ে হস্টেলের একটা ঘরে একসঙ্গে ঘুমোতাম। আমি একটু দেরি করে উঠতাম। কিন্তু স্যার প্রতিদিন আমার দুই বন্ধুকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে আমার সঙ্গে অসভ্যতা করতেন।’