সিনেমায় রবীন্দ্র সঙ্গীতকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছিলেন তরুণ মজুমদার
Connect with us

বাংলার খবর

সিনেমায় রবীন্দ্র সঙ্গীতকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছিলেন তরুণ মজুমদার

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তরুণ মজুমদার। সোমবার সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে কলকাতার SSKM হাসপাতালে প্রয়াত হন বর্ষীয়ান এই চলচ্চিত্র পরিচালক। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। 

১৯৩১ সালে ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলার বগুড়ায় জন্ম তরুণ মজুমদারের। বাবা বীরেন্দ্রনাথ মজুমদার ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তরুণ মজুমদারের পড়াশোনা কলকাতাতেই। সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজ এবং স্কটিশ চার্চ কলেজের ছাত্র তরুণ পরে রসায়ন নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তরুণের ফিল্ম জগতে পদার্পণ বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করার পরই। তবে ১৯৫৯ সালে প্রথম ফিল্ম পরিচালনায় আসেন তিনি। উত্তম কুমার সুচিত্রা অভিনীত ‘চাওয়া পাওয়া’ ছবিটি দিয়ে। তখন তাঁর বয়স ২৮।

 এই ছবিটির পরিচালনায় আসলে ছিল যাত্রিক নামে একটি গোষ্ঠী। যার সদস্য ছিলেন শচীন মুখোপাধ্যায়, দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের এবং তরুণ মজুমদার। ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত এই যাত্রিকের সঙ্গেই ছবির পরিচালনা করেছেন তরুণ। তার পর আলাদা ভাবে ছবি পরিচালনা শুরু করেন। ১৯৬২ সালে এই যাত্রিকের পরিচালনাতেই ‘কাঁচের স্বর্গ’ ছবিটি তৈরি হয়। যা পরে জাতীয় পুরস্কার এনে দেয় পরিচালককে। 

Advertisement

আরও পড়ুন: Big Breaking: প্রয়াত চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার

তাঁর মৃত্যুতে এদিন শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিনোদন জগতে। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সৌমিলি বিশ্বাস, শতাব্দী রায়, ঋতুপর্না সেনগুপ্ত, সঙ্গীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র, অরুন্ধতি হোমচৌধুরী। ”অনেক কিছু শিখেছি। সাহিত্যের রস নিংড়ে নিতে পারতেন ছবিতে”। পরিচালকের মৃত্যুতে প্রথম প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এ কথা জানিয়েছেন অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক। সঙ্গীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র বলেন, ”নিজের মত ভাবনা চিন্তা করে বেঁচেছেন। সুন্দর জীবন কাটিয়েছেন তরুণ মজুমদার। সত্যাজিৎ, মৃণাল সেনের যুগেও নিজের স্বতন্ত্র ঘরনা দিয়ে সুন্দর সুন্দর ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। 

আরও পড়ুন: না ফেরার দেশে তরুণ মজুমদার, শোকের ছায়া বিনোদন জগতে

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ”রবীন্দ্রনাথের গান যে সিনেমায় ব্যবহার করা যেতে পারে তা বিনোদন জগতে একমাত্র দেখিয়ে গিয়েছেন তরুণ মজুমদার”। আর এক সঙ্গীত পরিচালক শিবাজী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ”প্রথম ছবি ভালোবাসা ভালোবাসার মাধ্যমে তাঁর কাছে আসা। এরপর আলো ছবি থেকে তাঁর সঙ্গে আরও ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তাঁর মৃত্যুতে একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি হল। আলো ছবিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান আমাকে দিয়ে গাওয়ানো হয়েছিল। তাঁর ছবিতে বারং বার রবীন্দ্র সঙ্গীতের দারুণ ব্যবহার হয়েছিল। গ্রাম বাংলাকে নিয়েই ছবি করতেন তিনি।”