বাংলার খবর
তরুণ মজুমদারের প্রয়াণ চলচ্চিত্র জগতের অপূরণীয় ক্ষতি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: চির নিদ্রায় শায়িত হলেন চাওয়া পাওয়া’র স্রষ্টা বিখ্যাত পরিচালক তরুণ মজুমদার। বেশ কিছুদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। এদিন সকালে এসএসকেএম হাসপাতালে প্রয়াত হন তরুণ মজুমদার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
‘পথ ভোলা’র পরিচালকের প্রয়াণে শোকের ছায়া বিনোদন জগতের পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলেও। সোমবার বর্ষীয়ান এই পরিচালকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: Big Breaking: প্রয়াত চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার
এদিন টুইট বার্তায় তিনি লেখেন,”বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। ভিন্নধারার রুচিসম্মত সামাজিক চলচ্চিত্র নির্মাণে তরুণ মজুমদার উজ্জ্বল নিদর্শন রেখে গেছেন। তাঁর ছবিতে রবীন্দ্র সঙ্গীতের প্রয়োগ দর্শককে আবিষ্ট করে রাখে। তরুণ মজুমদার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র , বালিকা বধূ, শ্রীমান পৃথ্বীরাজ, ফুলেশ্বরী, দাদার কীর্তি, ভালবাসা ভালবাসা, সংসার সীমান্তে, গণদেবতা, শহর থেকে দূরে, পথভোলা, চাঁদের বাড়ি, আলো ইত্যাদি উল্লেখের দাবি রাখে। তিনি পদ্মশ্রী, জাতীয় পুরস্কার, বিএফজেএ পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন পুরস্কারে সম্মানীত হয়েছেন। তাঁর প্রয়াণ চলচ্চিত্র জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তরুণ মজুমদারের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”
আরও পড়ুন: সিনেমায় রবীন্দ্র সঙ্গীতকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছিলেন তরুণ মজুমদার
তরুণ মজুমদারের মৃত্যুতে শোকবার্তা প্রকাশ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইটারে তিনি বলেন,”একটা যুগের অবসান হল। কিংবদন্তী পরিচালকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাঁর মৃত্যু সিনেমা জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তরুণ মজুমদারের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। ওঁ শান্তি”।
End of an era.
Deeply saddened by the grim news of the passing away of Veteran Bengali film director Shri Tarun Majumdar.
Condolences to his family, friends, colleagues & fans.
Om Shanti 🙏 pic.twitter.com/gYGOPR66xm— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) July 4, 2022
প্রয়াত চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদারকে নিয়ে সুজন চক্রবর্তী প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন,”তরুণ মজুমদারের মৃত্যু বাংলা চলচ্চিত্র জগতের ইন্দ্রপতন। তরুণ মজুমদার আজন্ম মানুষের বিবেকের মধ্যে কাজ করেছেন। চিত্র পরিচালক, শিল্পী, সংস্কৃতির মনন সম্পূর্ণ একটা মানুষ। বাংলার সমাজ জীবনে, শিল্প জগতে বড় ক্ষতি হল। কী অসম্ভব সৃষ্টি! তাঁর প্রয়াণে আমরা গভীরভাবে শোকাহত”।
আরও পড়ুন:
প্রখ্যাত এই পরিচালকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। অভিভাবককে হারালাম বললেন গৌতম ঘোষ। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ”পরিচালক তরুণ মজুমদারের শেষ ইচ্ছাকে সম্মান জানাতে তাঁর মৃত্যুতে করা হবে না কোনও শোক মিছিল। দেওয়া হবে না গান স্যালুট। প্রয়াত পরিচালক তাঁর মরণোত্তর দেহ দান করে গিয়েছেন বিজ্ঞান গবেষণার কাজে। তাঁর দেহ ও কর্নিয়া দান করা হবে”।