বাংলার খবর
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বড় ঘোষণা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের

বেঙ্গল এক্সপ্রস নিউজ: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে যখন বাংলায় ভুরি-ভুরি অভিযোগ উঠছে তখন পাশের রাজ্য TamilNadu-এর ভেলোর মেডিকেল কলেজ গ্রহণ করছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী Mamata Banerjeer এর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় একথা জানান রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিন তিনি জানান স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও ভালো করতে অনেক পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। শুধু তাই নয়, বিধায়ক ডঃ নির্মল মাজি এদিন স্বাস্থ্য বাজেট নিয়ে বক্তব্য রাখার সময় সরকারের নতুন নতুন কিছু পরিকল্পনার কথাও জানান।
আরও জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জায়গা থেকেই বিরোধীরা অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা পাওয়া যায় না। সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, শুধু রাজ্যেই নয়, রাজ্যের বাইরের হাসপাতালগুলোতেও এখন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা পাচ্ছেন রাজ্যের মানুষ। তিনি জানিয়েছেন, চেন্নাইয়ের ভেলোরে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৭৮১২ জন মানুষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা পেয়েছেন। সেই বাবদ রাজ্যসরকার এখনও পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ হিসেবে ৮৯ কোটি ৯৮ লাখ ৬৫৯ টাকা ভেলোর হাসপাতালকে দিয়েছে। তাই, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে যে সমস্ত অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী।
এদিন তিনি আরও বলেন, ”আমরা স্লোগান তুলেছিলাম স্বাস্থ্য কারও ভিক্ষা নয়, স্বাস্থ্য মানুষের জন্মগত অধিকার। সুস্বাস্থ্যের দাবি বাংলার মানুষের দাবি। এই দাবি আগে প্রত্যাখাতের স্বীকার হয়েছে। উদাস হয়েছে। বাম জমানায় যারা কোটি কোটি টাকা চুরি করেছে। বিভিন্ন সোসাইটির টাকা যারা এদিক-ওদিক সরিয়েছে তাঁরাই এখন বামের ‘ব’এর নীচে পুটুলি দিয়ে ‘রাম’ হয়েছে।”
আরও পড়ুন: আনারুল শেখ আত্মসমর্পণ না করলে তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে, নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনও মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখজনক। মৃত্যু আর রক্তমাখা কাজকে নিয়ে যারা রাজনীতি করে, বাংলাকে অশান্ত করতে চাইছে বাংলার উন্নয়নকে থামিয়ে দিতে চাইছে তাঁদের একটা কথা স্মরণ করিয়ে দিই গণদেবতার আদালতে প্রত্যেকটি দেওয়ালে দেওয়ালে জঞ্জাল পার্টির মৃত্যু পরোয়ানা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আগামী নির্বাচনে বুঝিয়ে দেবে বাংলার ১০ কোটি মানুষ।” এদিন তিনি আরও বলেন, ”তিনবছর আগে বলেছিলাম যে, এই ঐদ্ধত্য এই সীমাহিন এই গন্ডগোল মানবিক মুখকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা এর বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জবাব দেবে।