বাংলার খবর
Breaking News: NDA প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর সমর্থন চেয়ে তৃণমূল সাংসদদের চিঠি সুকান্ত-শুভেন্দুর
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: এনডিএ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর সমর্থন চেয়ে এবার তৃণমূল সাংসদদের চিঠি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি পদে যোগ্যতম। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয় লাভ করলে তিনিই হবেন দেশের প্রথম জনজাতি মহিলা রাষ্ট্রপতি। পূর্ব ভারত থেকেও প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি। এ রাজ্যের শাসকদল যাতে এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থন করেন, সেই দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: প্রার্থী দ্রোপদীকে জেড প্লাস নিরাপত্তা কেন্দ্রের, জানুন সাঁওতাল কন্যার অজানা তথ্য
এদিকে রথের দিন দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) সমর্থন নিয়ে মুখে খোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, “আগে থেকে যদি বিজেপি জানাত যে, একজন তফশিলি, আদিবাসী মহিলাকে তাঁরা প্রার্থী করছে, তাহলে আমরাও চেষ্টা করতাম। বৃহত্তর স্বার্থে বিরোধী ১৬-১৭টা দল বসে সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম। সর্বসম্মতিতে একজন প্রার্থী হলে, তা দেশের পক্ষে ভাল হতো। এ পি জে আব্দুল কালামও আগে হয়েছেন। কিন্তু বিজেপি ফোনে কেবল আমাদের মতামত জানতে চেয়েছিল। ওদের মতামত জানায়নি। বৃহত্তর স্বার্থে, সর্বসম্মত প্রার্থী আমি সর্বদা পছন্দ করি।”
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন যুযুধান হতে চলেছে দুই শিবিরের কাছেই। তৃণমূলের বাছাই করা প্রার্থী যশবন্ত সিনহার উপর আস্থা রেখেছেন বিরোধীরা। তেমনই সাঁওতাল মহিলা প্রাক্তন রাজ্যপালকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে তুরুপের তাস হিসেবে খেলতে চাইছে BJP। শুধু তাই নয়, বিজেপি সরকারের তরফে দ্রোপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হতেই তাঁর জন্য এবার ‘Z+’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: BJP-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হবেন কারা? তালিকায় রয়েছে দুই রাজ্যপালের নাম
জানা গিয়েছে, জেড+ নিরাপত্তা হল কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বিতীয় সর্বাধিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যা সাধারণত পেয়ে থাকেন কেন্দ্রের পদস্থ আধিকারিকরা। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের ৬৪ বছর বয়সী এই সাঁওতাল কন্যা অকালে হারিয়েছেন তাঁর স্বামী সহ দুই সন্তানকে। রাজনীতিতে প্রবেশ সাধারণ কাউন্সিলর হিসেবে। আর তারপর দেশের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম উঠে আসায় এক কথায় রাজনৈতিক মহলেও হইচই পড়ে গিয়েছে।