ছেলেকে ঘিরে পোড়েল দম্পতির একটাই আশা, রঞ্জিতে ভালো খেলুক, নিজের সেরাটা দিক কিট্টু!
Connect with us

খেলা-ধূলা

ছেলেকে ঘিরে পোড়েল দম্পতির একটাই আশা, রঞ্জিতে ভালো খেলুক, নিজের সেরাটা দিক কিট্টু!

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : এই প্রথম রঞ্জি ট্রফিতে খেলছে কিট্টু তথা অভিষেক পোড়েল।তাঁর তুতো দাদা বিট্টু তথা ঈশান পোড়েল এখন পরিচিত নাম। বাংলার সিনিয়ার দলের নিয়মিত সদস্য ঈশান। আইপিএলে পঞ্জাব কিংসের হয়েও খেলেছিল অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের পেসার ঈশান।

তবে এই প্রথমবার রঞ্জিতে সুযোগ পেয়েছেন অভিষেক। ওড়িশার কটকে বরোদার বিরুদ্ধে বাংলার প্রথম একাদশে অভিষেক যে থাকবেন তা বুধবার রাতেই জানিয়ে দিয়েছিলেন কোচ অরুনলাল। সেই মত প্রস্তুতি নিয়েছেন অভিষেক। বাবা সোমনাথ ও মা অনিমা দেবীকে ফোনে অভিষেক সেই কথা জানিয়েও দিয়েছেন। ছেলেকে শুধুমাত্র ভালো খেলার দিকেই মনোযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন বাবা। ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুর্ধ্ব ১৯ দলে অপ্রত্যাশিত ভাবে সুযোগ পেলেও ক্যারিবিয়ান দ্বীপে খেলার সু্যোগ হয়নি অভিষেকের। তাতে অবশ্য আফসোস ছিল না। কারণ করোনা থেকে সেরে ওঠা সেট টিমকে মাঠে নামিয়েই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারতের ছোটোরা। সেই স্কোয়াডে থাকতে পেরে খুশি অভিষেক।দাদা ঈশান এবারও আইপিএল-এ পঞ্জাবে খেলবেন। অভিষেকের সবে আঠেরো বছর বয়স।

তাই আইপিএল নিয়ে এখনই ভাবতে চাইছেন না। এখন পাখির চোখ রঞ্জি। শেষবার বাংলা রঞ্জির ফাইনালে উঠেও সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল। আপাতত বাংলাকে জেতাতে নিজের অবদান রাখতে চায় ছেলে। ভালো পারফরমেন্স করুক, এটাই চান বলে জানালেন সোমনাথা বাবু। অভিষেকের মা অনিমা দেবী বলেছেন, ‘ছয় বছর বয়স থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু করে অভিষেক। দাদু তুলসীচরন পোড়েল চাইতেন নাতি ভালো খেলোয়ার হোক। চন্দননগর পোড়েল বাড়িতে কবাডি খেলার পরিবেশ ছিল বরাবর। অভিষেকের দাদু, বাবা, ঈশানের বাবা ও জ্যাঠা- সবাই কবাডি খেলোয়ার ছিলেন। তবে ঈশানই প্রথম ক্রিকেট খেলা শুরু করে। আর দাদাকে দেখে অভিষেকও ক্রিকেটে ঝোঁকে। ওর দাদু ওকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গার যেতেন। পরে আমিও নিয়ে গিয়েছি। এখন ক্রিকেটই অভিষেকের ধ্যান-জ্ঞান।’

Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.