বাংলার খবর
সাড়ে চার ঘণ্টা পর লালবাজার থেকে ছাড়া পেয়েই রাজভবনে সুকান্ত মজুমদার

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর লাল বাজার থেকে ছাড়া পেলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শনিবার বিক্ষোভে উত্তপ্ত হাওড়ার উলুবেরিয়া যাওয়ার পথে বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর পুলিশ ভ্যানে করেই তাঁকে নিয়ে আসা হয় লালবাজারে সেন্ট্রাল লকআপে। এরপর সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ তিনি ছাড়া পান। তারপরই সাড়ে সাতটা নাগাদ লালবাজার থেকেই সরাসরি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে যান সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সঙ্গে বিজেপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাহুল সিনহা, শমীক ভট্টাচার্য, অগ্নিমিত্রা পাল, প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল ও জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।
বেশ কিছুক্ষণ রাজ্যপালের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হয় বিজেপির প্রতিনিধিদলের। রাজভবন থেকে বেরিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘পুলিশ যতই আটকা আমি আবারও হাওড়ায় যাব। রাজ্যে তিন দিন ধরে অশান্তি চলছে। মুখ্যমন্ত্রী কোনও কড়া পদক্ষেপ নেননি। উল্টে তিনি উস্কানি দিচ্ছেন। চরম ব্যর্থ প্রশাসন। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতেই আমরা আজ রাজ্যপালের কাছে এসেছিলাম। আমাদের সমস্ত অভিযোগ তাঁকে জানিয়েছি। উনি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, শনিবার নিউটানের বাড়ি থেকে বেরনোর সময়ও তাকে বাঁধা দিয়েছিল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা। তারপর দুপুর ২টো নাগাদ তিনি উলবেড়িয়ার অগ্নীদগ্ধ পার্টি অফিস পরিদর্শনে বের হন। কিন্তু প্রথমে তাঁকে SSKM হাসপাতের কাছে আটকায় পুলিশ। সেইখান থেকে কিছুটা পায়ে হেঁটে যাওয়ার পর আবার গাড়িতে ওঠেন তিনি। আগে থেকেই টোল প্লাজার কাছে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। উপস্থিত ছিলেন সদর ও নর্থ ডিভিশনের ডিসি। গাড়ি বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজায় পৌঁছালেই সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর সঙ্গে থাকা বিজেপি কর্মীদেরও গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের গাড়িতে করেই তাঁকে লালাবাজারে নিয়ে আসা হয়। গ্রেফতার করা হয় পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ ও আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকেও। এরপরই সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে শহর জুড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। লালবাজারে গেটের সামনেও বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সমর্থকরা।