আন্তর্জাতিক
মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী জাতীয় স্তরের শুটার
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বালির একটি গেস্ট হাউস থেকে জাতীয় স্তরের মহিলা শুটারের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। জাতীয় স্তরের ওই মহিলা শুটারের নাম কণিকা লায়েক। ধানবাদের ধানসারের বাসিন্দা কণিকা হাওড়ার বালির বীরেশ্বর চ্যাটার্জি স্ট্রিটে মুক্তি লেডিস হোস্টেলে পেয়িং গেস্ট হয়ে থাকতেন।
আজ সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ বন্ধ ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কণিকা গত ১৯ জুলাই মুক্তি লেডিস হোস্টেলে থাকতে আসেন এবং কলকাতার কাছে এয়ার রাইফেল শুটিং প্র্যাকটিস করতে শুরু করেন। রাজ্যস্তরে পদকজয়ী এই শুটার ইদানিং জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অকৃতকার্য হন। সম্ভবত সেই কারণেই মানসিক অবসাদ ঘিরে ধরে তাঁকে। এবং সেই অবসর তিনি আত্মহত্যা করেন তিনি। লেডিস হোস্টেলের কর্নধার অদ্রিশা দত্ত জানিয়েছেন, খুবই শান্ত, ভদ্র মেয়ে ছিল কণিকা। বাকি আবাসিকদের সঙ্গে অত্যন্ত নম্র ব্যাবহার করত। কণিকার কোচ তথা প্রাক্তন অলিম্পিয়ান এবং শুটার জয়দীপ কর্মকার জানিয়েছেন, ‘কণিকা খুব মন দিয়ে প্রাকটিস করত। একবার শেখালেই শিখে নিত। ও খুব তাড়াতাড়ি শুটিংয়ে উন্নতিও করছিল।’ কণিকা লায়েক হয়তো বড় কোনও কম্পিটিশনের জন্য নিজেকে তৈরি করছিল।
কিন্তু সেই ভাবে নিজেকে তৈরি করতে না পারায় অবসাদ থেকেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, কণিকা লায়েকের ঘর বুধবার থেকে বন্ধ ছিল। আজ সকালে ঘর না খোলায় গেস্ট হাউসের লোকজন জানালা দিয়ে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। খবর দেওয়া হয় বালি থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। কণিকার ঘর থেকে মোবাইল ফোন এবং একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে বালি থানার পুলিশ। নোটে কণিকা লিখেছেন, বাবার ইচ্ছে তিনি বড় খেলোয়াড় হন। কিন্তু তিনি ভালো খেলতে পারছিলেন না। মেয়ের আকস্মিক মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন বাবা প্রীতম লায়েক। তিনি বলেছেন, মেয়েকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তাঁর স্বপ্ন যে মেয়েকেই কেড়ে নেবে, তা তিনি ভাবতেও পারেননি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।