বাংলার খবর
মদের বোতল-কন্ডোমের প্যাকেট পরিস্কার করেই রোজ শুরু হয় ক্লাস!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাতের অন্ধকারে স্কুলের মধ্যে চলে মদের আসর। আখড়া তৈরি হয়েছে দুষ্কৃতীদের। স্কুলের ছাদে,আনাচে কানাচে মদের বোতল ও গর্ভনিরোধক জিনিস পত্র পাওয়া যায় হামেশাই।তাতেই স্কুল শিক্ষক থেকে অভিভাবক সমস্যায় পড়েছেন।
পান্ডুয়ার সিমলাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের আর্তি গ্রামের রাস্তার ধার থেকে বেশ কিছুটা দূরে অবস্থিত আর্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এইরকমই বেহাল দশা চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই দশা দেখে প্রভাব পড়ছে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যেও।
স্কুলের ৩ জন শিক্ষক শিক্ষিকা। মোট ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ১০৫ জন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সরকারি দফতরে স্কুলের পাঁচিল সহ বিভিন্ন ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। অভিভাবকরা জানান, রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা এখানে এসে মদ্যপান করে, নোংরা কাজ চলে এই স্কুলে। তার জন্যই ভোগান্তিতে পড়তে হয় সকলকেই।
আরও পড়ুন: রায়গঙ্গে অ্যাসিড পোকার হানা, আক্রান্ত শিশু
স্কুলের দীর্ঘদিনের দাবি, স্কুল চত্বরকে পাঁচিল দিয়ে গিরে ফেলার কিন্তু সেটা এখনো পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। তার ফলেই দুষ্কৃতীদের আখড়ার পরিণত হয়েছে এই স্কুলটি। এমনকি বিভিন্ন সময় স্কুলে চুরিরও ঘটনা ঘটেছে। অবিলম্বে পাণ্ডুয়া প্রশাসন হস্তক্ষেপ করুক না হলে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক উত্তম চৌধুরী এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি। এবিষয়ে হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপারসন শিল্পা নন্দী বলেন, ”এই ধরনের ঘটনা ঘটছে শুনেছি। পান্ডুয়া থানায় জানিয়েছিলাম ।কিছুদিন বন্ধ থাকলেও আবার শুরু হয়েছে।আর এর জন্য প্রয়োজন বাউন্ডারি ওয়ালের। আর যত শীঘ্র সম্ভব এর ব্যবস্থা হবে”।
বিজেপির মন্ডল সভাপতি অমিতাভ ঘোষ জানান, এই ঘটনার সম্পূর্ণ নিন্দা করি এবং প্রশাসনকে আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে এবং পাশাপাশি জনগণ কেউ সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। স্কুলে যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: কুপন কেটে জগন্নাথ দর্শন, মাহেশের রথে নতুন নিয়মকে ঘিরে বিক্ষোভ ভক্তদের
পুলিশ সূত্রে খবর, স্কুলটার কোনও সীমানা প্রাচীর নেই। মাঠের মাঝে স্কুলটির অবস্থান। রাতের অন্ধকারে অসামাজিক কাজ হয় বলে জানা গেছে।কেউ অভিযোগ করেনি, রাতে পুলিশি টহল বাড়ানো হবে।