আট স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে রাজ্যের উন্নয়ন, শিল্পপতিদের বিনিয়োগে আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর
Connect with us

বাংলার খবর

আট স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে রাজ্যের উন্নয়ন, শিল্পপতিদের বিনিয়োগে আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : করোনার কারণে দু’বছর পর আবারও অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। আজ থেকে নিউটানে বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে শুরু হয়েছে ষষ্ঠ বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট। চলবে আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এবারের এই সম্মেলনে ৪২টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। তাদের সঙ্গে রয়েছেন দেশের প্রথম সারির বিশিষ্ট শিল্পপতি ও বিনিয়োগকারীরাও। ষষ্ঠ বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশ-বিদেশের শিল্পপতিদের রাজ্যে বিনিয়োগ করার জন্য আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন – মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসায় রাজ্যপাল! কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে বিনিয়োগকারীদের বিরক্ত না করার পাল্টা অনুরোধ

রাজ্যের বর্তমান আর্থিক, সামাজিক এবং শিল্প পরিস্থিতির কথা তুলে ধরার পাশাপাশি রাজ্যের কৃতিত্ব ও সাফল্যের খতিয়ানও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে সরকারের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প এবং নারী ক্ষমতায়নের কথাও। রাজ্যে শিল্পের সম্ভাবনা কতটা, কেন বিনিয়োগ করবেন, তাও এদিনের মঞ্চ থেকে উপস্থিত শিল্পপতিদের সামনে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, আগামী এক বছরের মধ্যে রাজ্যে কম করে দেড় কোটি নতুন কর্মসংস্থান হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘বাংলার সরকার উন্নয়নের পথে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে। প্রতিদিন সকালে বাংলার নতুন উদয় হচ্ছে। বাংলা ইতিবাচক এবং উদীয়মান রাজ্য। বাংলাই প্রথম রাজ্য, যারা অতিমারির পর প্রথম বাণিজ্য সম্মেলন করছে। আমরা বিশ্বমানের পরিকাঠামো তৈরি করেছি। আমাদের দল মহিলাদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। আমাদের নির্বাচিত মহিলা প্রতিনিধি প্রায় ৩৮ শতাংশ। আমরা মহিলাদের জন্য কন্যাশ্রী, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করেছি। আমাদের সরকার ইমাম ভাতা দেয়। পুরোহিতদের আর্থিক সাহায্য করে। সামাজিক সুরক্ষায় বাংলা দেশের মধ্যে সেরা। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ও সরকারি হাসপাতালে সবাই বিনামূল্য চিকিৎসা পান।

Advertisement

আরও পড়ুন – মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিলেন না প্রধানমন্ত্রী, বাণিজ্য সম্মেলনে আসছেন না নরেন্দ্র মোদি

একশো দিনের কাজে আমরা দেশের মধ্যে সেরা। গ্রামীণ আবাসন নির্মাণে আমরা এক নম্বরে। আমরা ধান উৎপাদন, ই-টেন্ডারে এক নম্বরে। রাজস্ব আয় ৪ শতাংশ বেড়েছে। অতিমারি পরিস্থিতিতেও বাংলার জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে।’ এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন বাংলার উন্নয়ন আটটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে। এই আটটি স্তম্ভ কী কী, তাও এদিন ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই আটটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম হল, শিল্পের বিশ্বমানের পরিকাঠামো, উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা, দক্ষতার মানোন্নয়ন, পরিকাঠামো বাড়াতে বেশি আর্থিক বরাদ্দ, ই গভর্নেন্স, শিল্প স্থাপন প্রক্রিয়ার সরলীকরণ, বন্ধ নিষিদ্ধ ও কর্ম দিবস নষ্ট না হওয়া। এরপরই রাজ্যে শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে শিল্পপতিদের বিনিয়োগ করার জন্য আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। কেন এই রাজ্যে বিনিয়োগ করবেন? তা জানাতে গিয়ে মূলত চারটি দিককে এদিন তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের শিল্পের সম্ভাবনা প্রবল। কারণ রাজ্যে সুনির্দিষ্ট জমি ও শিল্পনীতি রয়েছে।

আরও পড়ুন – আন্তর্জাতিক ট্রাক পরিবহনের করকাঠামোর সরলীকরণ, নয়াচর-সিলিকন ভ্যালি নিয়ে বড়

Advertisement

শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে ৭ দিনের মধ্যে জমির সমস্ত তথ্য ক্লিয়ার করে দেওয়া হয়। তাজপুরে গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি হচ্ছে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি দেউচা পাচামির কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। এছাড়াও অমৃতসর থেকে ডানকুনি পর্যন্ত ইস্টার্ন ফ্রেট করিডোর, ডানকুনি, হলদিয়া ও দুর্গাপুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডোর তৈরি হচ্ছে। গ্যাস পাইপলাইনের কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘একাধিক প্রতিদেশী দেশের সীমান্ত বাংলার গায়ে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির প্রবেশ দ্বার বাংলা। এ খানে ২০০টিরও বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক রয়েছে। ক্ষুদ্র মাঝারি ও ভারী শিল্পের বাংলা অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে ৩.৮ শতাংশ। অশোকনগরে ওএনজিসি প্রকল্প চালু হচ্ছে। লোডশেডিং শব্দটা উধাও হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন – জেলার সংখ্যা বাড়াতে আরও আইএএস, আইপিএস চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিচ্ছেন মমতা

এখন রাজ্যে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে। এখন বাংলা মানেই ব্যবসা। আমাদের আমলে বাংলায় বেকারত্ব কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। আমাদের লক্ষ্য হল রাজ্যে আরও কর্মসংস্থান তৈরি করা। আগামী দিনে আপনাদের মত বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতা নিয়ে এই বাংলাকে শিল্পে এক নম্বর করতে চাই। আমাদের রাজ্যে ও রাজনৈতিক বিভেদ রয়েছে। কিন্তু গুজরাত, মহারাষ্ট্রের মতো অন্যান্য সমস্যা নেই। এখানে আমরা মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করি না। এখানে একটা মানবিক এবং সাংস্কৃতিক ঐক্য রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা মনে রাখুন আপনারা দেশের অন্য রাজ্যে নয় পশ্চিমবঙ্গে আসছেন। এখানে আপনারা আমাদের পরিবারের সদস্য হবেন। তাই বাংলাকে নিজের ঘর ভাবুন। নিজের উপর আস্থা রাখুন। বিনিয়োগ করুন।’

Advertisement

আরও পড়ুন – কলকাতা পুলিশে চালু হচ্ছে নেতাজি ব্যাটেলিয়ন, ১ হাজার ১৭১ জনকে নিয়োগ

Continue Reading
Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.