বাংলার খবর
অনলাইনে প্রতারণার শিকার শ্রীরামপুরের ওষুধ ব্যবসায়ী!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : প্রলোভন দেখিয়ে হ্যাকিং অ্যাপ ডাউন লোড করিয়ে টাকা হাতানোর কায়দা পুরোনো হচ্ছে। তাই নতুন কৌশল নিচ্ছে প্রতারকরা। হুগলির চুঁচুড়ার বুড়ো শিবতলার বাসিন্দা বৃদ্ধ রমেন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তীর পর এবার শ্রীরামপুরের এক মহিলা অনলাইন প্রতারণার শিকার হলেন। শ্রীরামপুর শিরিষতলায় মুক্তা মুখোপাধ্যায়ের ওষুধের দোকান আছে। তাঁকে ব্যবসার কাজে ‘ফোন পে’ ব্যবহার করতে হয়।
মঙ্গলবার সেই ফোন পে থেকে বলছি বলে ফোন করা হয়। মুক্তা মুখোপাধ্যায়কে বলা হয়, তিনি ১ হাজার ২০০ টাকা ক্যাশব্যাক পেয়েছেন। মুক্তা দেবীর মোবাইলে একটি মেসেজও আসে। কিউআর কোড স্ক্যান কেন করাচ্ছেন না সেটা জিজ্ঞাসা করা হয়। মুক্তা দেবী ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন। আবার ফোন করে তাঁকে একই কথা বলা হয়। বিশ্বাস না করায় তাঁর ফোন পে’তে সারে চার হাজার টাকা দিয়ে মেসেজ দেয় প্রতারক। পুলিশের ভয় দেখালে প্রতারক বলে এখনই তাঁর এ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা সরিয়ে নেওয়া হবে।তাঁরা যে টাকা দিয়েছে, সেই টাকা যেন ফেরত দেওয়া হয়।মুক্তা বলেন তাঁর দেকানে এসে টাকা নিয়ে যেতে।প্রতারক জানায় করোনার সময় দোকানে যাওয়া যাবে না।
বার বার একই কথা বলতে থাকে। বলতে বলতেই সাত হাজার টাকা সরিয়ে নেয় প্রতারক। টাকা তোলার মেসেজ আসতেই ভয় পেয়ে যান মুক্তা দেবী। টাকা ফেরাতে এনি ডেস্ক অ্যাপ ডাউন লোড করতে বলে প্রতারক। তারপরে কয়েক মিনিট কথা বলতে বলতেই ৯৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক। শ্রীরামপুর থানা ও চন্দননগর পুলিশের সাইবার সেলে অভিযোগ জানান মহিলা। মুক্তা মুখোপাধ্যায় বুঝতেও পারেননি তাঁর কাছে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের যে মেসেজ ঢুকছিল তা ভুয়ো কিনা। প্রতিদিনই অনলাইন প্রতারণার নতুন নতুন কৌশল বের করছে প্রতারণা চক্র।কখনও ভয় দেখিয়ে, কখনও ভুল বুঝিয়ে, কখনও প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে চলেছে। সেই ফাঁদে পা দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।