আন্তর্জাতিক
ক্ষুধার আগুনে জ্বলছে লঙ্কা, সেনাকে বিশেষ ক্ষমতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বৈদেশিক ঋণের দায়ে দেউলিয়া। অর্থনীতির বেহাল দশায় বিপর্যস্ত গোটাদেশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ সরকার। জনগণের চাপের মুখে পড়ে অবশেষে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মাহিন্দা রাজাপাক্ষে।
প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েও মিলছে না স্বস্তি। অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটাতে ব্যর্থ সরকার এরই প্রতিবাদে অব্যাহত রয়েছে জনতার ক্ষভ-বিক্ষোভ, প্রতিবাদ। মাহিন্দা রাজাপাক্ষের সমর্থকদের সঙ্গে প্রকাশ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে বিরোধী গোষ্ঠীর। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফের বড় পদক্ষেপ নিল শ্রীলঙ্কার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ঠিক কী ঘটছে শ্রীলঙ্কায়?
The office of the Former Minister @NaseerAhamedCM in Eravur, set on fire by protesters.#Srilanka #SriLankaProtests #SriLankaEconomicCrisis pic.twitter.com/nCP3OcRYSd
— Nawfan (@Nawfan1234) May 10, 2022
দেনার দায়ে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি। জ্বালানি-বিদ্যুৎ না থাকায় ১৩/১৪ ঘণ্টা নয়, গোটা দিনই লোডশেডিং-এ ডুবে রয়েছে ভারতের প্রতিবেশী এই দ্বীপরাষ্ট্র। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ সরকার এরই প্রতিবাদে মাহিন্দার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন বিরোধীরা। প্রতিবাদে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নিস্তার নেই। প্রতিবাদের আগুনে জ্বলছে গোটাদেশ। ছাড় পাচ্ছেন না শ্রীলঙ্কার নেতা-মন্ত্রীরা। জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের বাড়ি। এমনকি জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন শ্রীলঙ্কার এক মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: Big Breaking: ইস্তফা দিলেন মাহিন্দা রাজাপাক্ষে
পরিস্থিতি সামাল দিতে বিক্ষোভকারী জনতাকে যেকোনও মুহুর্তে গ্রেফতার,গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শ্রীলঙ্কার সেনাকে। মঙ্গলবার এই বিশেষ ক্ষমতা প্রদানের কথা ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা,আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া-পাথর ছোঁড়ার মতো ঘটনা ঘটলে দেশের সেনাবাহিনী, নৌসেনা এবং বায়ুসেনা বিক্ষিপ্ত জনতার উপর গুলি চালাতে পারবে এবং বিক্ষোভকারীদের আটক করতে পারবে। মঙ্গলবারই শ্রীলঙ্কার সরকারি তরফে দেশের তিনবাহিনীকে বিশেষ এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সরকারি বিরোধী ক্ষোভ-বিক্ষোভে ইতিমধ্যে রাজধানী কলম্বো সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আহত হয়েছেন অন্তত ২৫০ জন।
শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক দুর্দশা ঘোচাতে প্রতিবাদে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রেসিডেন্টের বাড়ি। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজধানী সহ শ্রীলঙ্কার বেশকিছু জায়গায় জারি করা হয়েছে কার্ফু।
দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে মাত্র পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফের জরুরি অবস্থা জারি করেছে রাজাপাক্ষে সরকার। নেই খাবার। এক টুকরো শুকনো রুটিও বারন্ত। দিনে ১৩/১৪ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকলেও পুরোপুরি অন্ধকারে ডুবে রয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। পরিস্থিতি খারাপ এই দেশের তথাকথিত বণিক শ্রেণির মানুষদেরও।
আরও পড়ুন: তালিবান শাসনে জেরবার জীবন, জারি হল মহিলাদের জন্য নয়া ফতোয়া
বর্তমানে শ্রীলঙ্কা শুধু অর্থনৈতিক সংকটই নয়, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে। সম্প্রতি বিরোধী দলগুলো প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। রাষ্ট্রপতি থাকাকালে তাঁর পক্ষে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।