Uncategorized
কখনও চড় তো কখনও ঘুষি, লাথি! স্কুল খোলার আগে দুই শিক্ষকের মারামারি দেখল রাজ্যবাসী

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সমাজ গঠন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শিক্ষকরা। সেই শিক্ষকরাই স্কুলের মধ্যে জড়িয়ে পড়লেন হাতাহাতিতে। মারপিটে দেদার চলল চড়-থাপ্পড়! ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে। প্রথমে ওই স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের গায়ে হাত তোলেন।
এরপর প্রধান শিক্ষক ভূগোলের শিক্ষককে পাল্টা মারতে শুরু করেন। দু’জনেই একের পর এক ঘুষি, চড় মারতে থাকেন। এরপর স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা তাঁদের নিরস্ত্র করেন। ভূগোলের শিক্ষক নিমাই মজুমদারের অভিযোগ, স্কুলের প্রধান মনোরঞ্জন বিশ্বাস শিক্ষক নানান আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। স্কুলের অন্য শিক্ষকের কাগজ পত্র আটকে রেখেছেন এবং বিভিন্ন শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। বুধবার সেই সব বিষয়ে কথা বলতে গেলে দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন প্রধান শিক্ষক। এরপরেই তাঁরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এই ঘটনা সামনে আসতেই চারিদিকে নিন্দার ঝড় বইতে শুরু করেছে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, দুই বছর ধরে স্কুল বন্ধ। আর স্কুলের শিক্ষকদের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে চিন্তা নেই।
যাঁদের দায়িত্ব সমাজ গঠন করা, তাঁরা নিজেরাই কেউ দুর্নীতি করছেন, আবার কেউ ক্যামেরার সামনে মারামারি করছেন। ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠে এসেছে। স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা প্রতিবাদ করতে গেলেই তাঁদেরকে বিভিন্ন ভাবে প্রধান শিক্ষক নাকি হুমকি দিতেন। এমনকী প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাগজপত্রও আটকে রাখেন। শুধু তাই নয়, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মুখ খুললে বদলি করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ অন্যান্য শিক্ষকদের। ভূগোলের শিক্ষকের অভিযোগ, তিনি প্রধান শিক্ষককের ঘরে গিয়েছিলেন। তাঁর কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ দীর্ঘদিন ধরেই প্রধান শিক্ষক আটকে রেখে দিয়েছেন। অনেকবার চেয়েও কিছুতেই পাচ্ছিলেন না তিনি। বুধবার, তার প্রতিবাদ করেই পোস্টার নিয়ে কার্যত প্রধান শিক্ষকের অফিসের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ বসে পড়েন ওই ভূগোল শিক্ষক। অভিযোগ, সেই সময় প্রধান শিক্ষক ওই প্রতিবাদী শিক্ষকের উপর চড়াও হন। প্রথমে হাতাহাতি, তারপর ব্যাপক মারধর। গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর।