দেশের খবর
১০৮ ঘড়া জলে স্নানযাত্রা জগন্নাথের, পুরীর মন্দির জুড়ে সাজ সাজ রব

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: চলতি বছরে আজ ১৪ জুন জগন্নাথ দেবের পবিত্র স্নানযাত্রা। তার জন্য পুরীর মন্দির জুড়ে সাজ সাজ রব। উপলক্ষ দেবস্নান, জগন্নাথদেব, বলভদ্র ও সুভদ্রার স্নানযাত্রা।
আষাঢ় মাসেই রথযাত্রার উৎসবে সেজে ওঠে পুরীর মন্দির। করোনা মহামারির জেরে আগের ২ বছর বন্ধ ছিল স্নানযাত্রার উৎসব। তবে চলতি বছর করোনার বাধানিষেধ কম থাকার কারণে স্নানযাত্রার দিনেই পুরীতে পুণ্যার্থীদের ভিড় দেখা যাবে। আজ সকাল থেকে গর্ভগৃহ থেকে শোভাযাত্রা সহকারে স্নান মণ্ডপে আনা হয় জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে। সেখানে ১০৮ ঘড়া জলে স্নান করানো হবে বিগ্রহকে। এরপর ১৫ দিনের বিশ্রাম পর্ব। রথযাত্রার দিন ফের দর্শন মিলবে জগন্নাথদেবের। স্থানীয়রা তো বটেই, দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা এসে জুটেছেন মন্দির নগরীতে।
প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী, এই দিনেই জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার জন্ম হয়েছিল। তাই অনেকের মতে, এটাই জগন্নাথের জন্মদিন। ভক্তরা এও বিশ্বাস করেন যে, এইদিনে জগন্নাথ দর্শন করলে জীবনের সব পাপ ধুয়ে যায়। তাই স্নানযাত্রায় প্রতিবছরই লাখো পুণ্যার্থীর ভিড় হয়। বলা হয় নাকি স্নানযাত্রার পর জগন্নাথদেবের জ্বর আসে। তাই রথযাত্রার পর্যন্ত তিনি বিশ্রাম নেন, আবার রথের দিন আত্মপ্রকাশ করেন এবং রাজবেশে সামনে আসেন।
ভোর ৪টের সময় মঙ্গলার্পণের মধ্য দিয়ে এদিনের চিরাচরিত রীতি-রেওয়াজের অনুষ্ঠান শুরু হয়। তারপর সকাল ৬টা নাগাদ ভগবান সুদর্শন, তারপর একে একে বলভদ্র, সুভদ্রা ও জগন্নাথদেবকে স্নানবেদিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়। তার আগেই প্রথা অনুযায়ী পুজোপাঠও হয়। এরপর ১০৮ ঘড়া পুণ্যবারিতে স্নান করানো হয় তিনজনকে। এরপর হাতিবেশে সাজানোর পর ভক্তদের দর্শনের জন্য জগন্নাথদেবকে রাখা হয়।