খেলা দেখাতে গিয়ে হাতে অজগরের ছোবল, সাপ নিয়ে সটান হাসপাতালে কিশোর

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: প্রশিক্ষণ ছাড়া সাপ ধরে খেলা দেখাতে গিয়ে সাপের ছোবলে আক্রান্ত কিশোর। সোজা সাপ নিয়ে হাসপাতালে হাজির।

জানা গিয়েছে, প্রশিক্ষণ ছাড়া সাপ ধরে খেলা দেখাতে গিয়ে বিপাকে পড়ে ১৩ বছরের এক কিশোর। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধওলাগুড়ি গ্রামে।

জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে বাঁশ ঝারে একটি অজগর সাপের বাচ্চাকে দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপর খবর দেওয়া হয় ময়নাগুড়ি রোড পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্যদের।  তাঁরা আসার আগেই মৃন্ময় রায় নামের ওই কিশোর সাপটিকে ধরে খেলা দেখানোর চেষ্টা করে।  সেই সময় ওই অজগর সাপটি তার হাতে কামড়ে দেয়। তড়িঘড়ি সাপ নিয়ে সোজা হাজির হয় ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। খবর পৌঁছায় পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের কাছে। তারা এসে সাপটিকে উদ্ধার করেন।

আরও পড়ুন: অমরনাথে নিখোঁজ হাওড়ার তিন মহিলা, উদ্বিগ্ন পরিবার

যদিও ওই কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে সাপটিকে ধরার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তারা জানান, সাপটি জঙ্গলে ছিলো। সেই সময় কিশোর জঙ্গলে গেলে হতে ছোবল দেয়। পড়ে স্থানীয়রা সকলে মিলে সাপটিকে ধরে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তেরো বছরের কিশোর মৃন্ময় রায় বলেন, ” আমি জঙ্গলে যাই কাজের জন্য কিন্তূ সেখানে ওই সাপটি আমার হাতে ছোবল মারে।”

কিশোরের কাকু অমল রায় বলেন, ”ভাইস্তা পাট কাঠি আনার জন্য জঙ্গলে যায়। সেই সময় সাপটি ওকে ছোবল মারে। তারপর পাড়ার সকলে মিলে সাপটিকে ধরে প্যাকেটে ভরে দেয়। সাপ সহ ভাইস্তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।”

আরও পড়ুন: ব্যাটারিতে আগুন জ্বালাতেই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল এলাকা, প্রাণ গেল খুদের!

এই বিষয়ে ময়নাগুড়ি রোড পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সম্পাদক নন্দু রায় বলেন, ” সকালে আমাদের কাছে খবর আসে যে বাশ ঝাড়ে একটি অজগর সাপ রয়েছে। এরপর আমরা পৌঁছানোর আগেই সেখানকার এক কিশোর সাপটিকে ধরে খেলা দেখায় বলে আমরা খবর পাই। তারপরেই হঠাৎ খবর আসে যে তাকে সাপটি ছোবল মারে কিশোরকে। তারা সাপ শুদ্ধ ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে আসে, আমরাও হাসপাতালে এসে সাপটিকে উদ্ধার করি এবং চিকিৎসকের সাথে কথা বলি যে এই সাপটি বিষধর নয়। তাই চিন্তার কোন বিষয় নেই। তাছাড়াও আমরা এলাকার মানুষকে সচেতন করি যে প্রশিক্ষণ ছাড়া কোনভাবেই সাপ ধরা উচিত নয়। এটা বন্য সংরক্ষণ আইনে বলা আছে। যদি কেউ এমনটা করে তাহলে তার জরিমানা ও জেল হতে পারে।”