খেলা-ধূলা
কমনওয়েলথ গেমসে ক্রিকেটে পদক জয়ের প্রস্তুতি শুরু স্মৃতিদের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত হতে চলা আসন্ন কমনওয়েলথ গেমসে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মহিলাদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। যা গোটা বিশ্বব্যাপী মহিলা ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করে তুলবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ইতিমধ্যেই কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নিতে বার্মিংহামে পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। কমনওয়েলথ গেমসে প্রথমবারই ছাপ ফেলতে জোর কদমে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন স্মৃতি মন্ধনারা।
তবে কমনওয়েলথ গেমসে ক্রিকেট এই প্রথম নয়। ১৯৯৮ সালে কুয়ালালামপুর কমনওয়েলথ গেমসে আয়োজিত হয়েছিল ক্রিকেট। সেবার পুরুষদের ৫০ ওভারের ম্যাচ হয়েছিল। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সোনা জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ফেভারিট ভারতীয় পুরুষ ক্রিকেট দল কিছু না করতে পারলেও এবারের কমনওয়েলথ গেমসে ভারতীয় মহিলা দলকে নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ক্রিকেট ভক্তরা। পদকের প্রত্যাশাও করছেন সকলে। তার কারণ অবশ্য রয়েছে। কারণ, সাম্প্রতিক সময়ে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন স্মৃতি মন্ধনরা।
কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের সঙ্গে গ্রুপ ‘এ’ তে রয়েছে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও বার্বাডোস। তবে কমনওয়েলথ গেমসে পদক জিততে দেশের ক্রিকেট ভক্তরা তাকিয়ে রয়েছেন পঞ্চ কন্যার দিকেই। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন স্মৃতি মন্ধনা। গত পাঁচ বছর ধরে জাতীয় দলের নিয়মিত ও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। দলের সহঅধিনায়ক তিনি। বিধ্বংসী ব্যাটারের পাশাপাশি লম্বা ইনিংসও খেলতে পারেন স্মৃতি। এই ভারতীয় দলের আরেক তারকা হলেন হরমনপ্রীত কৌর। যেকোনো পরিস্থিতিতে দলকে ভরসা জায়গাতে এই বিধ্বংসী মিডিল অর্ডার ব্যাটারের জুরি মেলা ভার। ব্যাটিঙের অন্যতম স্তম্ভ তিনি। গত দু-তিন বছর ধরে খারাপ ফর্ম চললেও চলতি বছরে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন হরমনপ্রীত।
এই ভারতীয় মহিলা দলের আর এক স্তম্ভ হলেন শেফালি শর্মা। ভারতীয় দলের এই ওপেনার বর্তমানে বিশ্ব টি-টোয়েন্টির অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয়দের মধ্যে সবথেকে বেশি রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকেই। পাওয়ার প্লে তে বড় রান তোলার ক্ষেত্রে মারকুটে শেফালির ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে থাকবে দল। এই ভারতীয় দলের আরেক কান্ডারী হলেন দীপ্তি শর্মা। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার দীপ্তি। তাঁর আঙুলের ভেলকিতে যেমন নাজেহাল হন বিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা তেমনই মিডিল অর্ডারে ব্যাট হাতেও দলের বড় ভরসা তিনি।
ভারতীয় বোলিং অ্যাটাককে নেতৃত্ব দেন রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়। ভারতের অন্যতম ধারাবাহিক বোলার তিনি। বিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপকে ভাঙতে তাঁর ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল ভারতীয় দল। উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে বিদেশের মাটিতে রাজেশ্বরীর রেকর্ড বরাবরই ভালো। দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও মালয়েশিয়াতে তিনি ধারাবাহিকভাবে উইকেট নিয়েছেন। তাই কমনওয়েলথ গেমসে ভারতীয় মহিলা দলের সাফল্যের অন্যতম কারিগর যে তিনি হতে চলেছেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।