বাংলার খবর
কেন্দ্রীয় সিল্ক বোর্ডের রেশম গুটি উৎপাদন কেন্দ্র সরিয়ে বহরমপুরে, ক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কেন্দ্রীয় সিল্ক বোর্ডের রেশম গুটি উৎপাদন কেন্দ্র সরিয়ে নেওয়া হল বহরমপুরে। সিল্ক বোর্ডের রেশম গুটি উৎপাদন কেন্দ্র সরিয়ে নেওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সর্বস্তরে। জানা গিয়েছে, রেশম গুটি উৎপাদন কেন্দ্র সরিয়ে নেওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন এখানকার ১৭০ জন কর্মচারী।
রায়গঞ্জের বিজেপি (BJP) সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর ব্যার্থতার কারনেই সরিয়ে নেওয়া হল এই রেশম গুটি উৎপাদন কেন্দ্র বলে অভিযোগ তুলেছেন রায়গঞ্জের তৃনমূল (TMC) কংগ্রেস বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী রায়গঞ্জ থেকে বহরমপুরে সরিয়ে নেওয়া হল সেন্ট্রাল সিল্ক বোর্ডের রেশম গুটি উৎপাদন কেন্দ্র। ১৯৯২ সাল থেকে এই উৎপাদন কেন্দ্রটি ছিল রায়গঞ্জ পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ড দেবীনগর এলাকায়।
আরও পড়ুন: রাজ্যসড়কের ধার থেকে উদ্ধার ৪ যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
বিরাট এলাকা নিয়ে অফিস বাড়ি ছাড়াও ছিল অনেকগুলি স্টাফ কোয়ার্টারও। স্থায়ী অস্থায়ী মিলিয়ে ১৭০ জন কর্মীর তৈরি রেশম কীট সরবরাহ করা হত বিভিন্ন জেলা সহ ভিনরাজ্যেও। অতিমারি করোনার সময় থেকেই এই রেশম গুটি উৎপাদন কেন্দ্রটি সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বন্ধ হয়ে গিয়েছে উৎপাদন। পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে উৎপাদন কেন্দ্রটি। জেলা বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, এই রেশম কীট উৎপাদন কেন্দ্রটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
আরও পড়ুন: দোল-হোলি উৎসব উপলক্ষ্যে মালদহে বাড়ছে হার্বাল আবিরের চাহিদা
কোনও রাজনৈতিক দলই উত্তরবঙ্গে শিল্প গড়তে চাই না বরং বন্ধ করে দেয়। রেশম গুটি উৎপাদন কেন্দ্রের মহাদেব দাস নামে এক কর্মচারী বলেন দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে কেন্দ্রটি। উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই কেন্দ্রটিকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফলে এখানকার কর্মচারীদের অন্যত্র স্থানান্তর করে দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিল্ক বোর্ডের রেশম গুটি উৎপাদন কেন্দ্র অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এখানাকার বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর ব্যার্থতাকেই দায়ী করেছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী।