বাংলার খবর
চোখ বন্ধ করলেই ভেসে উঠছে কালো ধোঁয়ার ছবি, দেশে ফিরে ইউক্রেনের ভয়াবহ পরিস্থিতির বর্ণ্না বাঙালি ছাত্রের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রুশ আগ্রাসনে বিধ্বস্ত ইউক্রেন। সমানে-সমানে চলছে টক্কর। আর এই দুই দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া দ্বন্ধের মধ্যে মহা ফাঁপরে পড়েছেন ইউক্রেনে পাঠরত বহু ভারতীয় পড়ুয়ারা। সরকারি তরফে পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি হয়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে ‘অপারেশন গঙ্গা’ শুরু করেছে ভারত সরকার।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে দেশের মাটিতে পা রেখেছেন বহু পড়ুয়া। যদিও এখনও সেদেশে আটকে রয়েছে আরও অনেক ভারতীয়। জোরকদমে চলছে তাঁদের উদ্ধারের প্রক্রিয়া। যদিও শুক্রবার যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে দুই দেশের প্রচেষ্টায় ঘরে ফিরেছেন বাংলার তিন পড়ুয়া। তাঁদের তিনজনেরই বাড়ি শিলিগুড়ি জেলাতে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে নিরাপদে শিলিগুড়িতে নিজের বাড়িতে ফেরেন ওই তিন পড়ুয়া। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে স্বাগত জানানো হয় তাঁদের। এদিন শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে তাঁদের বেরোতে দেখে মুখে হাসি ফোটে তাঁদের প্রিয়জনদের। ঘরের ছেলে ঘরে ফেরায় স্বস্তিতে পরিবারের লোকেরাও।
এদিকে ইউক্রেন থেকে ফিরে আসা ছাত্ররা শোনালেন যুদ্ধের গল্প। বাড়ি ফিরেও আতঙ্ক যেন কিছুতেই কাটছে না। চোখ বন্ধ করলেই ভেসে উঠছে কালো ধোঁয়া, গোলাগুলি বর্ষণের ছবি। প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে রাশিয়া। টানা একসপ্তাহ ধরে উত্তপ্ত দুই দেশ। বিফলে গিয়েছে শান্তি চুক্তি।
হঠাৎ করে যুদ্ধ শুরু হওয়ায় ইউক্রেনে পাঠরত বহু ভারতীয় শিক্ষার্থী আটকা পড়ে যায়। যাদের মধ্যে ছিলেন শিলিগুড়িরও কয়েকজন পড়ুয়াও। অন্যান্যদের সঙ্গে ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে অবশেষে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আবেদনে সাড়া দিয়ে ৬ ঘন্টার যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করেন পুতিন সরকার। সেই মতো শুক্রবার দেশে ফিরলেন একাধিক ভারতীয় নাগরিক। তাদের মধ্যে রয়েছেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা অরবিন্দ ছেত্রী, কমলাকান্ত শাহ, এবং তানিশা রায়। এদিন তাঁরা বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন। অন্যদিকে, বায়ুসেনার বিমান দেশের মাটি ছুঁতেই পড়ুয়াদের তেরেঙ্গা নেড়ে স্বাগত জানানো হয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে।