রাজনীতি
শিলিগুড়িতে গরমের ছুটি প্রত্যাহার করতে বলে রাজ্য ভাগের দাবি বিজেপি বিধায়কের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে স্কুলের গ্রীষ্মকালীন ছুটি রাজ্য সরকারের এগিয়ে নিয়ে আসা নিয়েও শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক তরজা। এমনকি উঠল রাজ্য ভাগের দাবিও। আবারও উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি উঠল গেরুয়া শিবির থেকে৷ এবার সেই দাবি করলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। রাজ্যে তীব্র দাবদাহে স্কুল পড়ুয়াদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে গরমের ছুটি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
আগামী ২ মে থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গরমের ছুটি পড়বে বলে বুধবারই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই ২ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত গরমের ছুটির নির্দেশিকাও জারি করেছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হতে গিয়েই রাজ্য ভাগের দাবিকে উস্কে দিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।
তাঁর বক্তব্য, দক্ষিণবঙ্গে যে পরিমাণ গরম পড়ে তা উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে পড়ে না। কিন্তু তারপরও দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা ছাড়া উত্তরবঙ্গের সমস্ত স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ির আবহাওয়া যথেষ্ট মনোরম। তাই দার্জিলিং ও কালিম্পঙের মতো শিলিগুড়ি সাব ডিভিশনের অন্তর্গত সমস্ত স্কুলের সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী গরমের ছুটি প্রত্যাহার করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠিও দিয়েছেন শঙ্কর ঘোষ।
আরও পড়ুন: মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের মামলার শুনানি শেষ, ১১ তারিখের মধ্যেই রায় ঘোষণা
তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক লিখেছেন, ‘সবে করোনার পর স্কুল খুলেছে। ফের তা বন্ধ করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। অথচ উত্তরবঙ্গে সেরকম গরম এখনও পড়েনি। তারপরেও স্কুলগুলোকে বন্ধ করা হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত উত্তরবঙ্গে চাপিয়ে দেওয়া হয়। সেজন্যই তো পৃথক রাজ্যের দাবি ওঠে। রাজ্যের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত এর জন্য দায়ী। দক্ষিণবঙ্গে কিছু হলে তার দায় কেন উত্তরবঙ্গকে নিতে হবে? সেজন্যই বারবার এই দাবি ওঠে।’ শঙ্কর ঘোষের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেছেন, ‘সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অযৌক্তিক মন্তব্য। যখন সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তা গোটা রাজ্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হয়। এটা সত্যি, দক্ষিণবঙ্গের থেকে উত্তরবঙ্গে গরম কম। ভৌগোলিক কারণে আবহাওয়ার তারতম্য হতেই পারে। তার জন্য রাজ্যের কিছু জেলায় গরমের ছুটি দেওয়া হবে আর কিছু জায়গায় দেওয়া হবে না, তা হতে পারে না। কিছু জেলার ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে, আর কিছু জেলার ছেলেমেয়েদের পড়াশুনো চলবে, তার অনেকটাই এগিয়ে যাবে, এটা কোনও মতেই হতে পারে না।’