বাংলার খবর
সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে নবান্নের বৈঠক বয়কট শুভেন্দুর
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাজ্যের তিন কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে নবান্নে যাচ্ছেন না শুভেন্দু অধিকারী। টুইট করে সেই কথা নিজেই জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের নির্দেশ না মানা এবং অসহযোগিতার অভিযোগও তুলেছেন শুভেন্দু। সেই কারণেই তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন না বলেই জানিয়েছেন। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা টুইট করে লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অসহযোগিতার কারণে এবং মাননীয় রাজ্যপালের দ্বারা জারি করা নির্দেশ না মেনে চলার কারণে আমি আজ নবান্নে ডব্লিউবিএইচআরসি, লোকায়ুক্ত, রাজ্য তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য নিয়োগ সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ দেব না।’
মানবাধিকার কমিশন, তথ্য কমিশন ও লোকায়ুক্তু কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়ে সোমবার নবান্নে বৈঠক ডাকা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই নবান্নে আজ প্রথমবার মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী ও শুভেন্দুর। হালফিলের প্রায় সমস্ত ইস্যু নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। দু’দিন আগেই নবান্নে গেরুয়া পতাকা ওড়ানোর পাশাপাশি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু। তাই এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা রাজনৈতিক মহল। এই বৈঠককে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছিল তারা। কিন্তু সেই বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী যোগ দেবেন না বলে জানিয়ে দিলেন।
সোমবার বিকেল চারটেয় নবান্নে এই বৈঠক হওয়ার কথা। বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীর যোগ দেওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই অনিশ্চয়তা ছিল। শুভেন্দু নিজেও বৈঠকে যাওয়া নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও কথা বলেননি। তাতেই জল্পনা জোড়ালো হচ্ছিল। অবশেষে টুইট করে বৈঠকে যোগ না দেওয়ার কথা জানিয়ে নিজেই সেই জল্পনার অবসান ঘটালেন শুভেন্দু।
প্রথা মেনে এই তিন কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগ মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং স্পিকার আলোচনা করেই নিয়ে থাকেন। নিয়ম অনুযায়ী এই বৈঠক বিধানসভাতেই সাধারণত হয়ে থাকে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির সাত বিধায়ককে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার। তাই বিধানসভায় ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে শুভেন্দুর। সেই কারণেই এই বৈঠক বিধানসভার পরিবর্তে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে ডাকা হয়েছে।