নিজেকে বাঁচাতে অমিত শাহের পায়ে ধরেছিলেন শুভেন্দু! বিস্ফোরক অভিযোগ বাবুলের
Connect with us

বাংলার খবর

নিজেকে বাঁচাতে অমিত শাহের পায়ে ধরেছিলেন শুভেন্দু! বিস্ফোরক অভিযোগ বাবুলের

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের দাবিতে সোমববার থেকেই রাস্তায় নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স, হলদিয়া এবং কাঁথিতেও শুভেন্দু অধিকারী গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ আন্দোলন করে রাজ্যের শাসক দলের নেতা-কর্মীরা। সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে সেই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল তৃণমূল যুব কংগ্রেস এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সেখান থেকেই শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবি তুললেন বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়, তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ, মহিলা নেত্রী সায়নী ঘোষরা।

শুভেন্দুকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন বাবুল। বালিগঞ্জের বিধায়ক বলেছেন, ‘সারদা মামলায় সবাইকে ডাকা হলেও নাম থাকা সত্ত্বেও কেন শুভেন্দু অধিকারীকে ডাকছে না সিবিআই? বিজেপিতে কেউ যোগ দিলেই তাঁকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, ইডি, সিবিআই তাঁকে ছুঁতে পারবে না। আমার সাহস আছে তাই আমি পদ ছেড়ে, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। আমি কোনও দুর্নীতি করেছি প্রমাণ করতে পারবে বিজেপি? ক্ষমতা থাকলে বিজিপি আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ করে দেখাক!’

এরপরই শুভেন্দুকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বাবুল। তিনি বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর আত্মমর্যাদা বলে কিছু নেই। আত্মমর্যাদা থাকলে নিজেকে বাঁচাতে এভাবে কেউ অমিত শাহের পায়ে পড়ত না। উনি যদি কিছু নাই করে থাকেন, তাহলে সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে ইডি-র মুখোমুখি হচ্ছেন না কেন? আমি তো সবকিছু ছেড়ে, বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম। উনার পরিবারের এখনও তো অনেকেই পদ আঁকড়ে বসে আছেন। আর সিবিআই প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট করে ঠিকই। কিন্তু বিজেপির দ্বারাই চালিত হয় সিবিআই।’

Advertisement

এদিনের এই বিক্ষোভ সমাবেশে সায়নী ঘোষও নাম করে শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ করেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে মীরজাফর বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। তৃণমূলের মহিলা নেত্রী সায়নী বলেছেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী একজন মীরজাফর। তৃণমূলে থাকাকালীন ৩০টি পদের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তখনই বিভিন্ন দুর্নীতি করেছেন চাকরি নিয়ে। কেউ কিছু জানত না। পরে বাঁচার জন্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দলটাকে ভাঙ্গাই ওর কাজ। যখন তৃণমূলে ছিল তখন দলটাকে ভাঙ্গার চেষ্টা করে গিয়েছে। এবার বিজেপিতে গিয়েও একই চেষ্টা করছে। ভাষা ও কপালের ভাঁজ সোজা করুন, পাপ বাপকেও ছাড়ে না।’

অপরদিকে, সোমবার মোদি সরকারের আট বছর পূর্তি উপলক্ষে কোচবিহারে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েও ‘গো ব্যাক’ ধ্বনি শুনলে শুভেন্দু। সেখানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় তাঁর কনভয়কে লক্ষ্য করে দেওয়া হয় ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। স্লোগান তোলা হয় তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে। কোচবিহার স্টেশন মোড়ের কাছে দেখানো হয় এই বিক্ষোভ। অন্যদিকে, বিজেপির পক্ষ থেকে তোলা হয়, ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান।

Advertisement