দেশের খবর
শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাইয়ে কেন বাধা? মুখ্য সচিবকে সাতদিনের সময়সীমা বেঁধে দিলেন রাজ্যপাল, না হলে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাজ্যপাল বনাম নবান্নের লড়াই থামার কোনও লক্ষ্য নেই। শহীদ দিবসে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কেন নেতাইয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছিল, সেই রিপোর্ট সাতদিনের মধ্যে দেওয়ার জন্য মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে সময়সীমা বেঁধে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
এই নিয়ে এর আগেও রাজ্যের কাছে জবাব তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, সেই জবাব দেয়নি নবান্ন। তাই এবার চরমসীমা বেঁধে দিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট না এলে ‘অল ইন্ডিয়া সার্ভিস রুল’ ভাঙ্গা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। রাজ্যপাল টুইটারে লিখেছেন, ‘রাজ্যের মুখ্যসচিবকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হল। কেন শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাইয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়, তার জবাব দিতে হবে। তার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। যদি তা অমান্য হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে শাসকের আইন, আইনের শাসন নয়। যে একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না।’ কয়েক দিন আগেই এই ইস্যুতে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও মুখ্যসচিবকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন ধনখড়।
কিন্তু তাঁরা আসেননি। তাতে ক্ষুব্ধ হয়েও টুইট করেছিলেন রাজ্যপাল। গত বুধবার একটি পোষ্ট করেন রাজ্যপাল। দু’দিন আগেও এই নিয়ে টুইট করে তিনি লিখেছিলেন, রাজ্য পুলিশের ডিজি ও রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। পরপর তিন দিন তাঁরা সেই তলব এড়িয়ে গিয়েছেন। কার নির্দেশে তাঁরা রাজভবন ‘বয়কট’ করেছেন, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। নেতাইয়ে কেন তাঁকে যেতে দেওয়া হয়নি, প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। নেতাই, বাঁকুড়া, কাঁথির সফরসূচিতে তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে বলেও আদালতে অভিযোগ জানান। জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কেন বার বার তাঁর সফরসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে আদালতে আবেদন জানান। তাঁর বাড়ির সামনে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।