বাংলার খবর
Big Breaking: হাইকোর্টের অনুমতির পরও সভা বাতিল করল BJP

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : শর্তসাপেক্ষে উলুবেরিয়ায় ২১ জুলাই বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবুও শেষ পর্যন্ত সেই সভা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিল বঙ্গ বিজেপি। বৃহস্পতিবার রাত আটটা থেকে রাত দশটার মধ্যে শর্তসাপেক্ষে বিজেপিকে ওই সভা করার অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু হাইকোর্টের সেই শর্তে আপত্তি থাকায় সভা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, হাইকোর্টের এই নির্দেশে তাঁদের নৈতিক জয় হয়েছে ঠিকই। কিন্তু যে সময়ে আদালত সভা করার নির্দেশ দিয়েছে সেই সময় সভায় এলে অনেকেরই বাড়ি ফিরতে সমস্যা হবে।
সেই কারণেই সভা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একুশে জুলাই সভা করতে বাধা দেওয়ার বিরোধিতায় আগামী ২৭ তারিখ হাওড়ায় পাল্টা সভা করিবে বিজেপি। এমনকি ওইদিন হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সুপারের অফিসে অভিযানেরও ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। একুশে জুলাই তৃণমূলের শহীদ দিবসের দিনে উলুবেরিয়ায় বিজেপি সভা করতে পারবে কিনা সেই নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই কলকাতা হাইকোর্টের শুনানি চলছিল। মঙ্গলবার এই শুনানিতে মৌসুমী ভট্টাচার্যের সিঙ্গেল বেঞ্চ মামলাকারীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, এই সভা কেন অন্যদিন করা যাবে না? এটাতো রবীন্দ্রজয়ন্তী নয়, যে ওই দিনেই করতে হবে। ২২ বা ২৩ তারিখেও এই সভা করা যেতে পারে। তারপরই বুধবার বিচারপতি এই মামলার রায় দিতে গিয়ে বিজেপিকে শর্তসাপেক্ষে রাত আটটা থেকে রাত দশটার মধ্যে উলুবেরিয়া সভা করার অনুমতি দেয়।
এছাড়া, বিজেপি যে জায়গায় সভা করার অনুমতি চেয়েছিল তার বদলে উলুড়িরিয়ায় দলীয় কার্যালয়ের সামনেই সভা করার নির্দেশ দেয় আদালত।একই সঙ্গে বলা হয়, সভায় ২০টির বেশি লাউডস্পিকার ব্যবহার করা যাবে না। সভার জন্য মাইক কোথায় লাগানো যাবে তা ঠিক করতে পারবেন উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক। ২০টির বেশি লাউডস্পিকার লাগানো হলে বাদ দিতে পারবেন তিনি। এবং ওই জায়গায় গত কয়েক মাসের আইনশৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে সভা থেকে কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য করা যাবে না।
বুধবার সন্ধ্যে ছটার মধ্যে সভারস্থলের কথা নির্দিষ্ট করে জানাতে হবে স্থানীয় থানাকে। পুলিশ সভাস্থল পরিদর্শন করে দেখবে সেখানে ২ হাজার লোক জমায়েত করতে পারবেন কিনা। যদি সভাস স্থল ২০০০ লোকের জন্য পর্যাপ্ত না হয় তাহলে কতজন মানুষকে নিয়ে সভা করা যাবে তা পুলিশকে জানাতে হবে বিজেপিকে। হাওড়া জেলার বাসিন্দারা ছাড়া অন্য জেলার কেউ এই সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এবং সভার জন্য যাতে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ না হয় সেই দিকেও খেয়াল রাখতে হবে আয়োজকদের। কিন্তু আদালতের সেই স্থান ও সময়ের শর্ত পছন্দ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সভা বাতিল করে দেয় বিজেপি। আর এই নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতর। বিজেপির এই সভা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘লোক হবে না বলেই বিজেপি সভা বাতিল করে দিয়েছে।’ শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘ হাইকোর্ট যে শর্ত দিয়েছে, তাতে সভা করা এক প্রকার অসম্ভব। কিন্তু বিজেপি বিশ্বের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। তারা দেশ চালায়। দেশে ১৮ টি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। তাই বিজেপিকে সভা করতে দেওয়ার ঝুঁকি নিতে পারল না মহামান্য উচ্চআদালত।’