Uncategorized
তিনি চান না কারও স্ত্রী হতে, থাকতে চান শুধুমাত্র এক্সট্রা ম্যারিটাল প্রেমিকা হয়েই!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বসন্ত আসছে। বিশ্বে যে দিনটিকে প্রেমের দিন হিসাবে গণ্য করা হয় অর্থাৎ ভ্যালেনটাইনস ডে’ও খুব বেশি দূরে নয়। প্রত্যেক বছরেই এই দিনটির জন্যে প্রতিটি প্রেমিকাই অপেক্ষা করে থাকেন। কিভাবে তাঁর সঙ্গীর সঙ্গে এই বিশেষ দিনটি বিশেষভাবে পালন করবেন, সেই নিয়ে অনেক চিন্তা-ভাবনা করে থাকেন।
এদের মধ্যে অনেকেই এই দিনেই ভবিষ্যতে সংসার গড়ার প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ হন। কিন্তু এতো গেল চিরাচরিত প্রেমের গল্প। আজ এমন এক প্রেমিকার গল্প জানবো, যিনি কিনা এই সব প্রতিশ্রুতির থেকে বহুদূরে। কিন্তু তাঁর জীবনে নেই প্রেমের অভাব। ভ্যালেনটাইনস ডে’র দিন প্রতিটি প্রেমিকাই তাঁর প্রেমিকের কাছ থেকে নানান উপহার আশা করেন এবং পেয়েও থাকেন। কিন্তু এই প্রেমিকা শুধু এই দিন কেন, বছরের প্রায় সব দিনই এক এক প্রেমিকের কাছ থেকে এক এক আকর্ষণীয় এবং মূল্যবান উপহার পেয়ে থাকেন। কে এই মহিলা ?আসুন জেনে নিই তাঁর পরিচয়। ইনি হলেন গুইথেন লি। ইংল্যান্ডের বাসিন্দা। বয়স ৪৯। তিনি লন্ডন এবং ক্যালিফোর্নিয়ার মধ্যেই ঘোরাফেরা করেন। তিনি নিজেকে ‘সিরিয়াল প্রতারক ‘ বলে দাবি করেন।
কিন্তু কেন! কারণ তিনি বিভিন্ন বিবাহিত পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেন। কিন্তু তিনি তাঁদের থেকে আর পাঁচটা প্রেমিকাদের মতো কোনও প্রত্যাশা রাখেন না। বিবাহিত পুরুষদের সঙ্গে তিনি পরকীয়ায় লিপ্ত হন। ঘোরেন, মজা করেন, ঘুরতে যান। কিন্তু এই অবধি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, অনেক সময় অনেক পুরুষ বন্ধুর স্ত্রী’রা তাঁকে অনুরোধ করেন, তাঁদের স্বামীর সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য। এঁদের মধ্যে অনেক স্ত্রী তাঁর বন্ধুও হয়ে যান। কিন্তু প্রশ্ন হল কেন এরকম হয়? মেয়েরা সব কিছু মানতে পারে, কিন্তু স্বামী অন্য কারও সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হবে, সেটা কখনওই মানতে পারে না। তাহলে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কেন? এই বিষয়ে লি বলেছেন, তিনি আসলে কারও ঘর ভাঙতে সম্পর্ক তৈরি করেন না। বরং তিনি ঘর যাতে না ভাঙে সেই কাজই করেন। তাই তাঁর কোনও অনুশোচনা নেই।
যে সকল পুরুষ তাঁদের বৈবাহিক জীবনে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, বিরক্তি এসেছে সংসারের প্রতি, সেই সব স্বামীরাই লি-এর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে পান নতুন জীবন। নতুন উদ্দ্যমে তাঁরা সংসারে ফেরেন। এক ঘেয়েমি দূর হওয়াতে স্বামী-স্ত্রীর মাঝখানের দূরত্ব যায় ঘুচে। বেঁচে যায় ভাঙা সংসার। আর যেহেতু লি তাঁর প্রেমিকদের থেকে কোনও প্রতিশ্রুতি চান না, তাই স্বামীরাও নির্দ্বিধায় লি-এর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। আর স্ত্রীরাও একপ্রকার স্বামী ও সংসারকে ফিরে পাওয়ায় খুশি হয়ে যান। স্ত্রীদের মনে কোনও রাগও থাকে না। বরং তার বদলে কোথাও তাঁরা কৃতজ্ঞ থাকেন লি-এর কাছে। গুইথেন লি আরও বলেছেন যে তিনি সারা জীবন ‘এক্সট্রা ম্যারিটাল প্রেমিকা ‘ হয়েই থাকতে চান। কারও বউ হতে চান না। সত্যি, একদিক থেকে ভাবলে লি তাঁর এই কাজের মাধ্যমে সমাজের উপকারই করছেন। অন্তত কিছু সংসার লি-এর জন্য বেঁচে তো যাচ্ছে!