আন্তর্জাতিক
চিনে সংক্রমণের গ্রাফচিত্র ঊর্ধ্বমুখী, ১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন সাংহাইতে

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: করোনাশাপ থেকে কিছুতেই মিলছে না মুক্তি। গত কয়েকমাস আগেই নিজেদের দেশকে সম্পূর্ণ কোভিডমুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন চিনা সরকার। সেই টুকরো কথার স্মৃতি ঝাপসা হওয়ার আগে ফের Covid 19 আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে করোনার আঁতুড়ঘর চিনকে।
জানা গিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি থেকেই চিনে আবার হু-হু করে বাড়তে শুরু করেছে করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রনের সংক্রমণ। মারণ এই অদৃশ্য ব্যাধির হাট থেকে মুক্তি পেতেই আগেই বেশকিছু প্রদেশের একাধিক শহরে লকডাউন ঘোষণা করেছিল চিন। এবার লকডাউন ঘোষণা করা হল চিনের সবথেকে বড় বাণিজ্যিক শহর Shanghai-তে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গিয়েছে, রবিবার গত ২৪ ঘণ্টায় চিনের এই প্রধান বাণিজ্যিক শহরে asymptomatic Covid কেসের সংখ্যা ছুঁয়েছে তিন হাজার চারশো। সংক্রমণ রুখতে তড়িঘড়ি সাংহাই শহরে লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছে চিন সরকার। এছাড়াও বাড়ানো হয়েছে কোভিড টেস্টের সংখ্যা। রবিবার সাংহাইতে রেকর্ড ৩,৪৫০ টি উপসর্গবিহীন কোভিড কেস ধরা পড়েছে। যা দেশব্যাপী মোটের প্রায় ৭০ শতাংশ। যার মধ্যে অন্তত ৫০টি কেস উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে চিনা স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
আরও পড়ুন: তালিবানের নয়া ফরমান, পুরুষসঙ্গী বিনা মিলবে না বিমান সফরের অনুমতি
অন্যদিকে, চিনা স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে গত কয়েকদিনে দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ছুঁয়েছে প্রায় ৫৬,০০ টি। যার মধ্যে সংক্রমণের রেশ সবথেকে বেশি চিনের জিলিন প্রদেশে। এদিকে দেশজুড়ে সংক্রমণের গ্রাফচিত্র ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় আগামী ১ এপ্রিল পর্যন্ত সাংহাই শহরে লকডাউন করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। শুরু করা হয়েছে গণহারে কোভিড টেস্টিং। এছাড়াও সোমবার সকাল থেকেই লকডাউন জারি হয়েছে সাংহাইতে। এদিকে জিরো কোভিড নীতিতে ইতিমধ্যে দুটি স্টেপে লকডাউন করার কথা ঘোষণা করেছে সরকার। এরফলে অন্তত ২৬ মিলিয়ন মানুষকে ফের গৃহবন্দি করতে চলেছে চিন। সাংহাই-এর স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে যে, ব্যাপকহারে কোভিড টেস্ট শুরু করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সংক্রমণ রুখতে সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে স্থানীয় বাজাড়-দোকানপাট সবকিছু।
উল্লেখ্য, টানা দু’বছর অতিমারির দাপটে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল জনজীবন। সংক্রমণ রুখতে সরকারি বিধিনিষেধের জেরে এক-দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহবন্দি ছিল গোটাবিশ্ব। ওয়ার্ক ফ্রম অফিস চলে গিয়েছিল ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোমে’। এই অবস্থায় বাজারে ভ্যাকসিন আসতে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটে। ফের ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার পথে গোটাবিশ্ব।
আরও পড়ুন: লকডাউন করেও রোখা যাচ্ছে না সংক্রমণের দাপট, চিনে করোনায় নতুন করে মৃত ২
কিন্তু নতুন বছর শুরুর দু’মাস যেতে না যেতেই ফের সংক্রমণের আতঙ্ক তাড়া করছে Covid19-এর আঁতুড়ঘর চিনকে। লকডাউন করেও রোখা যাচ্ছে না সংক্রমণের রেশ। ২০২১ সালে যেখানে একটিও নতুন কোভিড কেস ছিল না। সেখানে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চিনের বিভিন্ন প্রদেশে বিশেষ জিলান প্রদেশে হু-হু করে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা। বিশেষ করে খবর মিলছে করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্ট ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার কথা।