বাংলার খবর
ক্লাসে বসেই একাধিক ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহ! গ্রেফতার স্কুল শিক্ষক

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: একাধিক ছাত্রীকে যৌন নিগ্ৰহের অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে! ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে। কুলতুলির বনঘেরি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনায় এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কুলতলী থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এবং পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারও করেছে।
ধৃত ওই শিক্ষকের নাম দয়াল মণ্ডল। তাঁর বিরুদ্ধে স্কুলের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর একাধিক ছাত্রীকে ক্লাসের মধ্যেই যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। মোবাইল দেখানোর নাম করে ওই সমস্ত ছাত্রীদের কোলে বসিয়ে ওই শিক্ষক যৌন নিগ্রহ করতেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তাঁর এই কীর্তিকলাপের কথা যাতে ছাত্রীরা বাড়িতে বলে না দেয় তার জন্য তাদের ভয়ও দেখাতেন তিনি। পাশাপাশি, ছাত্রীদের মুখ বন্ধ করার জন্য টাকাও দিতেন বলে অভিযোগ উঠেছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এক ছাত্রী বাড়িতে এসে তার মাকে গোটা বিষয়টি জানালেও তাকে বিশ্বাস করতে চায়নি। উল্টে শিক্ষকের নামে খারাপ কথা বলার জন্য মেয়েকেই বকাবকি করেন মা। কিন্তু আরও অনেক ছাত্রী একই অভিযোগ করায় সন্দেহ হয় অভিভাবকদের। তারপরই কয়েকজন ছাত্রীর অভিভাবক স্কুলে গিয়ে গোটা বিষয়টি জানায়। তখনই তাঁরা গোটা বিষয়টি সত্যি বলে জানতে পারেন। নির্যাতিতা এক ছাত্রীর মা বলেছেন, ‘একদিন আমার মেয়ে এসে স্যারের সম্বন্ধে খারাপ কথা বলায় আমি বিশ্বাস করিনি৷ উল্টে মেয়েকে মারধর করেছি৷ পরেও ওই শিক্ষক ওর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। তখন আমার মেয়ে গিয়ে জেঠিমাকে সব বলে৷ এরপর স্কুলে আসতেই আমরা সব জানতে পারি।’ এক ছাত্রী অভিযোগ করেছে, ‘দয়াল স্যার আমাকে ডেকে প্রায়ই আমার পেটে হাত দেয়৷ আমি সরে এলে আবার টেনে নিয়ে কোলে বসিয়ে মোবাইলে বাজে ছবি দেখায়।’ আবার এক ছাত্রী অভিযোগ করেছে, ‘স্যার আমার গায়ের যেখানে সেখানে হাত দেন। কাউকে কিছু বলতে বারণ করে ৫০ টাকা দিয়েছেন। একজন দিদিমণিকে সব বলা সত্ত্বেও তিনি কোনও ব্যবস্থাই নেননি।’
অভিযুক্ত এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই স্কুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, তাঁর পরিবর্তে স্কুলে অন্য কোনও ভালো শিক্ষক এলে তবেই তাঁরা তাদের মেয়েদের স্কুলে পাঠাবেন।