দেশের খবর
জেল হেপাজতে ব্যবসায়ীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্র অসম
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: পুলিশ হেপাজতের ভিতরে বন্দি থাকা এক আসামির মৃত্যুর ঘটনায় শনিবার থেকে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি অসমের নওগাঁ জেলা।
জানা গিয়েছে, পুলিশি হেফাজতে বন্দি মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অসমের নওগাঁ। পুলিশি হেফাজতে বন্দি সফিকুল ইসলামের মৃত্যুর পর নওগাঁ জেলার বাতাদ্রাভা পুলিস স্টেশনে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তপ্ত জনতা। এই কাণ্ডে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের ধরতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মী আহত হন।
Administration demolishes 5 houses after police station set on fire in Assam
Read @ANI Story | https://t.co/5ijqkrgwW1#Assam #Assampolice #Demolition pic.twitter.com/B9vc1IBfAZ
— ANI Digital (@ani_digital) May 22, 2022
এরপর এদিন সকালে সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে পাঁচটি ঘর ভেঙে দেওয়া হয়। অভিযোগ,থানায় আগুন লাগানোর সঙ্গে জড়িতদের পাঁচজনের ঘর ভেঙেছে নওগাঁ প্রশাসন।
অভিযোগ, সালোনিবাড়ির বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম গত শুক্রবার রাতে ব্যবসায়িক কাজের জন্য শিবসাগর জেলায় যাচ্ছিলেন। তখন বাটাদ্রবা পুলিশ তাঁকে রাস্তায় থামিয়ে ১০,০০০ টাকা ও একটি হাঁস দাবি করেন।
আরও অভিযোগ, সফিকুল পুলিশ কর্মীদের দাবি পূরণে ব্যর্থ হলে পুলিশ তাঁকে বটদ্রাবা থানায় নিয়ে যায় এবং তার পরিবারের সদস্যদের ফোন করে টাকা ও হাঁসের ব্যবস্থা করতে বলেন। এরপর সফিকুল তার স্ত্রীকে ফোন করে থানায় টাকা ও হাঁস নিয়ে আসতে বলেন। সফিকুলের স্ত্রী টাকার ব্যবস্থা করতে না পারায় শুধু হাঁস নিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে জোর, কোয়াড সামিটে যোগ দিতে জাপান সফরে মোদি
জানা গিয়েছে, পুলিশ তখন সফিকুলকে তাঁর স্ত্রীর সামনে মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। এরপর তিনি টাকার ব্যবস্থা করতে ছুটে যান। কিন্তু টাকা নিয়ে ফিরে আসার পর তাঁকে বলা হয়, তাঁর স্বামীকে নগাঁও সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে তিনি যখন হাসপাতালে পৌঁছান, তখন মর্গে শফিকুলের লাশ পড়ে ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
The #AssamPolice said that three persons have been arrested for their alleged involvement in the attack and operations are underway to find the others using CCTV footage.https://t.co/jJlBryZFbu
— Scroll.in (@scroll_in) May 22, 2022
এরপরই শফিকুলের পরিবারের সদস্যরা এবং গ্রামবাসীর একসঙ্গে সফিকুলের শবদেহ বটদ্রবা থানায় নিয়ে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষ হয় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে। শফিকুলের মৃত্যুর প্রতিবাদে শুরু হয়ে যায় পুলিশ জনতা খণ্ডযুদ্ধ। থানা ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বিহার, মৃত কমপক্ষে ৩৩
এই বিষয়ে জেলার এসপি লীনা ডলি জানিয়েছেন, ঘটনায় ৩ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এসপি পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করারও আশ্বাস দিয়েছেন এবং দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও ডিআইজি সত্যরাজ হাজারিকা বলেছেন যে, এই ঘটনায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে এবং থানার ইনচার্জকে বরখাস্ত করা হয়েছে।