বাংলার খবর
ফ্রিজে বোম রেখে বিক্রি! ব্যবসায়ীর বুদ্ধিতে তাজ্জব পুলিশ

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: উৎসবের মরসুম চলছে। সারাদেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে দীপাবলি উৎসব। কয়েকদিন পরই ছটপুজো, জগদ্ধাত্রীপুজো, কার্ত্তিক পুজো রয়েছে। দীপাবলি মানে আলোর উৎসব। কেউ বাড়িতে প্রদীপ জ্বেলে আলোকিত করে, আবার কেউ আলো দিয়ে বাড়ি সাজিয়ে রাখে।
সাথে বাজি-পটকা তো রয়েছেই। যদিও বাজি-পটকা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। দীপাবলির কয়েকদিন আগেই, এক মামলায় হাইকোর্ট সমস্ত রকম বাজি-পটকা নিষিদ্ধ করেছিল। হাইকোর্টের রায়ে সারা রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বাজি ব্যবসায়ীরা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায়। সুপ্রিম কোর্ট তাদের রায়ে জানিয়ে দেয় পরিবেশ বান্ধব সব রকম বাজি ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু নিষিদ্ধ বাজির ওপর নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখা হয়। বাজি ছাড়া দীপাবলি মানায় নাকি? মানুষের চাহিদার কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন জায়গায় গোপনে বাজি বিক্রির খবর আসতে থাকে।
খবর পেলেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেছে। তেমনই পুলিশের কাছে খবর আসে, পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার মাইচপাড়ার গোপনে নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি চলছে। খবর পেয়েই ছক সাজায় পুলিশ। ক্রেতা সেজে এক পুলিশকর্মী অভিযুক্ত বাজি বিক্রেতার থেকে বাজি কিনতে যান। তাতেই পুলিশ নিশ্চিত হয় এই দোকানে বাজি-পটকা আছে। পুলিশ সেই দোকানে গিয়ে তল্লাশি চালিয়েও কোনও নিষিদ্ধ বাজি বা পটকা খুঁজে পায়নি। এরপর গোটা বাড়ির তল্লাশি চালিয়েও কিছুই খুঁজে পায়নি তদন্তকারী দল।
কিন্তু তল্লাশি শেষে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় তাঁরা ইলেকট্রিক বোর্ডে লক্ষ করে দেখেন ফ্রিজের লাইন খোলা। তাতেই সন্দেহ হয় পুলিশের। ফ্রিজ খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়। ঠাণ্ডা পানীয় নয়, ফ্রিজ বাজি-পটকায় ভর্তি। এরপর ওই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর গোডাউন থেকে কয়েক লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করে পুলিশ। ব্যবসায়ীর বুদ্ধি দেখে অবাক হয়ে যায় তদন্তকারী দল। অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ীর নাম শুভঙ্কর চক্রবর্তী।বাড়ি মন্তেশ্বর থানার মাউচপারজায়। পুলিশ অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। নিষিদ্ধ বাজি ব্যবসায় ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে, তার তদন্ত শুরু করছে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ।