দেশের খবর
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা নিয়ে বড় ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দেশদ্রোহ আইন নিয়ে যুগান্তকারী পদক্ষেপ দেশের শীর্ষ আদালতের। দেশদ্রোহ আইন স্থগিতের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্র পুনর্বিবেচনা না করা পর্যন্ত এই আইনে আপাতত কোনও মামলা করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের তরফে এক নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, এবার থেকে দেশদ্রোহ বা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা সরাসরি করা যাবে না। কেন্দ্র পুনর্বিবেচনা না করা পর্যন্ত এই আইনে কোনও মামলা নয়। এমনকি এবার থেকে জামিনের জন্যও আবেদন করতে পারবেন অভিযুক্তরা।
মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্টের তরফে এক নির্দেশিকা জারি করে দেশদ্রোহ আইন নিয়ে কেন্দ্র কী ভাবছে তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। এই বিষয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছেন, সরকার দেশদ্রোহী মামলা স্থগিত রাখার পক্ষে ছিল না। সলিসিটর জেনারেল বলেন, “পরীক্ষার একটি স্তর থাকতে হবে। যেখানে একজন দায়িত্বশীল আধিকারিক পরিস্থিতি পরীক্ষা করার জন্য থাকবেন এবং অবশ্যই বিচার বিভাগীয় ফোরাম থাকবে।”
আরও পড়ুন: প্রয়াত দেশের প্রথম মোবাইল ব্যবহারকারী মন্ত্রী পণ্ডিত সুখরাম শর্মা
শুধু তাই নয়, বিচারাধীন মামলাগুলি আদালতে রয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। যারফলে অভিযুক্তদের নিয়ে কি করা উচিত তার ভাবনা চিন্তা আদালতের উপর ছেঁড়ে দেওয়ার কথায় জানিয়েছে কেন্দ্র।
এই বিষয়ে মেহতা বলেন, ”আমরা সারা ভারতে কত অপরাধ ঘটছে তা জানি না। এই ক্ষেত্রে অন্যান্য সন্ত্রাসবাদের অভিযোগও থাকতে পারে। এই বিচারাধীন মামলাগুলি পুলিশ বা সরকারের কাছে নয়। সেগুলি আদালতের কাছে রয়েছে। তাই, আদালতের বিচক্ষণতা নিয়ে প্রশ্ন করা উচিত নয়।”
তিনি আরও বলেন যে, ”জামিনের নির্দেশ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু এর বাইরেও, এমন একটি আইনে থাকা যার সাংবিধানিকতা অতীতে ইতিমধ্যেই বিচার করা হয়েছে তা ভুল হবে।”
আরও পড়ুন: জাতীয় প্রযুক্তি দিবস: পোখরাণ সফল উৎক্ষেপণে বিজ্ঞানীদের শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর
যদিও প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যদের বেঞ্চ বলেছে, এটা স্পষ্ট যে ১২৪এ ধারা সময়োপযোগী নয়। ঔপনিবেশিক শাসনের লক্ষ্যে সেই ধারা চালু করা হয়েছিল। ‘আমাদের আশা, যখন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে, ততক্ষণ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারায় কোনও এফআইআর দায়ের করা, তদন্ত চালু রাখা বা বিরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকবে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার।’