বাংলার খবর
বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ভুয়ো মেসেজে ৭৮ হাজার টাকা খোয়ালেন চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাজ্যে আবারও অনলাইন প্রতারণা। বিদ্যুতের বিল মেটানো নিয়ে প্রতারণার শিকার হলেন খোদ বাঁকুড়া চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক মধুসূদন দরিপা। নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেই খোয়ালেন ৭৮ হাজার টাকা। বাঁকুড়া জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মধুসূদন দরিপা তাঁর এক বয়স্ক গুরুদেবের দেখাশোনা করেন। তাঁর বাড়ির বিদ্যুতের বিল মধুসূদন বাবুই মেটান। রবিবার মধুসূদন বাবুর সেই আত্মীয়ের মোবাইলে একটি ভুয়ো মেসেজ আসে। তাতে লেখা ছিল, বিদ্যুতের বিল অবিলম্বে না মেটালে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। এবং সেই মেসেজে একটি ফোন নম্বরও দেওয়া ছিল। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার আশংকায় মধুসূদনবাবু তৎক্ষণাৎ ওই নম্বরে ফোনও করেন। ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে মধুসূদন বাবুকে একটি রিমোট সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে বলা হয়। তারপর সেই সফটওয়্যারের মাধ্যমে তাঁকে কুড়ি টাকা সার্ভিস চার্জ পেমেন্ট করতে বলা হয়। নির্দেশমতো মধুসূদন বাবু সেই সমস্ত কিছুই করেন। নিজের এবং স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে পেমেন্টও করেন। তারপরই রবিবার দুপুরে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সবমিলিয়ে মোট ৭৮ হাজার ৬২০ টাকা কেটে নেওয়া হয়।
প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরেই বাঁকুড়া জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মধুসূদনবাবু। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার গুরুদেব কামাখ্যা প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইলেকট্রিকের বিল আমিই দিয়ে থাকি। রবিবার সকালে গুরুদেবের ফোনে একটি মেসেজ আসে। তাতে বলা হয়, অবিলম্বে বিদ্যুতের বিল না দিলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। তারপরই ওই মেসেজে দেওয়া ফোন নম্বরে আমি ফোন করি। আমাকে একটি অ্যাপের মাধ্যমে কুড়ি টাকা সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে বলা হয়। তারপরই কয়েক ধাপে আমার এবং আমার স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৮ হাজার ৬২০ টাকা কেটে নেওয়া হয়। আমি একজন সচেতন নাগরিক হয়েও একটা ভ্রমের মধ্যে পড়েই এই প্রতারণার শিকার হয়েছি। সরকারের এই প্রতারণা চক্রগুলোকে ধরার ব্যাপারে আরও কড়া হওয়া উচিত।’