বাংলার খবর
নদীগর্ভে ভাঙনের মুখে স্কুল! আতঙ্কে পড়ুয়াদের অন্যত্র সরানোর দাবি
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: নদীগর্ভের তলিয়ে যাচ্ছে স্কুল। তাই ভাঙ্গনের গ্রাসের মুখে হুগলির জিরাটের চর খয়রামাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে হাইকোর্ট। বুধবারই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রায় দানের মাধ্যমে এই স্কুলকে দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়।
স্কুল নদীগর্ভের তলিয়ে যাচ্ছে। সেই ভয়ে অনেক অভিভাবকই নিজেদের সন্তানকে অন্য স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন পড়াশোনার জন্য। এমনই একজন ছাত্র হল নয়ন মজুমদার। শিশু শ্রেণী থেকে ক্লাস থ্রি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে এই স্কুলেই। তাঁর জীবনের প্রথম স্কুলের সাথে জড়িয়ে রয়েছে নানান স্মৃতি। বন্ধুদের সাথে একসঙ্গে ক্লাস করা ক্লাসের ফাঁকে খেলা ধুলো সে সব আনন্দ তার কাছে অতীতের স্মৃতি হয়ে গিয়েছে নতুন স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর। তাই সে প্রতিদিন নিজের স্কুলের শেষে মন খারাপ মেটাতে চলে আসে তার পুরনো স্কুলে।
ছোটোবেলার স্কুল একজন বাচ্চার কাছে কতটা আপন হয় তা হয়ত আমরা সবাই জানি। নয়ন তার প্রথম স্কুলে কাটিয়েছে চর খয়রামাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। দিয়া, সায়ন, অর্ণবের মতো বন্ধুদের ছেড়ে অন্য স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করতে একদম ভালো লাগেনা তার, তাই সে বিকেল হলেই ছুটে চলে আসে তার আপন স্কুলে।
নয়ন জানায়, বিগত চার বছর সে পড়াশোনা করেছে ওই স্কুলেই। যখন সে স্কুলে পড়ত তখন স্কুলের সামনে একটা মাঠ ছিল যেখানে সে তার বন্ধুদের সাথে খেলা করত। বর্তমানে সবেরই সলিল সমাধি। এই বছরেই তার মা তাকে অন্য একটি স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছে। কিন্তু নতুন স্কুলে তার একদম মন টেকে না। তাই সে বারবার ছুটে আসে তার পুরাতন স্কুলে। ফাকা স্কুল, বন্ধ ক্লাসরুম জীর্ণ দশায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর অপেক্ষা করছে সেই দিনের অপেক্ষায়, যখন একদিন নদী গ্রাসে তলিয়ে যাবে স্বপ্নের স্কুল।