বাংলার খবর
প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ালেন অভিভাবক, উত্তেজনা এলাকায়

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে মারতে যাওয়ার অভিযোগ উঠল এক অভিভাবকের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার বড়জোড়া থানার ফুলবেড়িয়া গ্রামে একটি প্রাইমারি স্কুলের ঘটনা
জানা গিয়েছে, দুপুরে টিফিন টাইমে স্কুলেরই এক ছাত্রের চোট লাগে। তা দেখে প্রধান শিক্ষক স্কুল পড়ুয়ার আঘাতের উপর ওষুধ লাগিয়ে দেন। এরপর কৃষ্ণ ঘোষ নামে তার অভিভাবককে খবর দেন। খবর পেয়ে অভিভাবক স্কুলে আসতেই ঘটে বিপত্তি। স্কুলের পপ্রধান শিক্ষকের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন অভিযুক্ত অভিভাবক। এমনকি ঝামেলার মধ্যেই লাঠি নিয়ে মারতে যাওয়ার চেষ্টা করেন প্রধান শিক্ষককে।
জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে ছিলেন অপর এক ছাত্রীর বাবা। যিনি পেশায় বড়জোড়া থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার। ঐ ব্যক্তিও অভিযুক্ত অভিভাবককে বাধা দিতে গেলে সিভিক পুলিশের উপরেও চড়াও হয়ে মারধোর শুরু করেন। হাতাহাতি দেখে পড়ুয়ারা মিড ডে মিলের খাবার খেতে বসলেও মারামারির আতঙ্কে রীতিমতো খাবার ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায় তারা।
আরও পড়ুন: অতিমারি অতীত! পৌষ মেলার আয়োজনে সাহায্য চেয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি উপাচার্যের
এদিকে ঝামেলা রীতিমতো বাড়তে থাকায় শেষমেষ সমস্ত গ্রামের লোক এসে জড়ো হন। তাঁরাই স্কুলের শিক্ষক ও সিভিক পুলিশকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন। গ্রামবাসীর তরফে খবর দেওয়া হয় বড়জোড়া থানায়।
পুলিশ এসে গ্রামবাসীদের থেকে ঘটনার কথা শুনে অভিযুক্ত কৃষ্ণ ঘোষের বাড়ি যান। পুলিশ আসার কথা শুনেই তৎক্ষণাৎ চম্পট দেয় সেখান থেকে। দীর্ঘক্ষণ পরে অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় বড়জোরা থানায়।
অন্য দিকে, এই ঘটনার জেরে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা গ্রামজুড়ে। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলেন, ”আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? কীভাবে চালাবো এই স্কুল?
বিনা কারণেই এরকম মারামারির ঘটনা ঘটতে থাকলে স্কুল আসা বন্ধ হয়ে যাবে বাকি পড়ুয়াদের”।
আরও পড়ুন: চলন্ত বাইক আরোহীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল চিতা, বরাতজোরে প্রাণে রক্ষা!
ঘটনায়, অভিযুক্ত ব্যক্তির মা বলেন, ”আমার ছেলের কোনও দোষ নেই। ওকে সিভিক ছেলেটা মারতে গিয়েছিল তাই ও এই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছে। তবে আমার ছেলে ঠিক কাজ করেনি। আমি তা বলেছি মাস্টারমশাইকে”। এই বিষয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারের স্ত্রী বলেন, ”কৃষ্ণ ঘোষ সবসময় ঝামেলা করে গোটা গ্রামজুড়ে। ও আজ আমার স্বামীকে মারতে গিয়েছিল। আমরা চাই ওর উপযুক্ত শাস্তি হোক”।