নেই সেতু! প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দড়ি টানাটানি করেই চলছে বিপদজ্জনক পারাপার
Connect with us

দেশের খবর

নেই সেতু! প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দড়ি টানাটানি করেই চলছে বিপদজ্জনক পারাপার

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: নদীর এপাড় থেকে ওপাড়ে যাওয়ার জন্য নেই কোনও সেতু। প্রবল বর্ষণে তাই দড়ির সাহায্য নিয়ে ওপাড়ে যেতে হয় এপাড়ের বাসিন্দাদের। বর্ষাকালে সমস্যা আরও বাড়ে। স্কুল, কলেজ সবকিছু নদীর ওপাড়ে থাকায় রীতিমত প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দড়ির সাহায্যে নদী পার হতে হয় পড়ুয়াদের।

ওড়িশার গঞ্জাম জেলার পাত্রপুর ব্লকে প্রবল বর্ষণে স্কুল পড়ুয়াদের দড়ির সাহায্যে নিয়ে নদী পার হতে হয়। এদিকে, ওড়িশার স্কুল ও গণশিক্ষামন্ত্রী সমীর রঞ্জন দাস স্থানীয় বিধায়ক এবং আধিকারিকদের সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ”আমার কাছে এই ঘটনার কোনও তথ্য ছিল না। মিডিয়া থেকে বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমি স্থানীয় বিধায়ক এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের স্থানীয় আধিকারিকদের সমস্যাটি সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছি”।

সূত্রের খবর, বর্ষাকালে প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষকে তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছতে নদী পার হতে হয়। গত শুক্রবার স্কুল পড়ুয়াদের নদী পার হতে হলেও প্রবল বর্ষণ ও বন্যার মতো পরিস্থিতির কারণে তা আর করতে পারছে না। তখন স্থানীয় গ্রামবাসীরা নদীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দড়ি বেঁধে পার হতে সাহায্য করছে।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা রবীন্দ্র নায়ক বলেন, ”জেলায় ভারী বর্ষণের কারণে নদীতে জলের স্রোত তীব্র হয়েছে। স্রোতের কারণে শিশুদের নদী পারাপার করা কঠিন হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় আমরা শিশুদের নদীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দড়ি বেঁধে পার করিয়ে দিই। এরপর শিশুরা নিরাপদে নিজ নিজ বাড়িতে চলে যায়। যাইহোক, এই পরিস্থিতি বিপজ্জনক। দ্রুত এই সমস্যা মেটানোর আবেদন জানাচ্ছি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে”।

Students cross river risking their lives

গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন যে তারা ইতিমধ্যেই গত বছরের সেপ্টেম্বরে পাত্রপুরের ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারকে (বিডিও) পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছিলেন এবং একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছিলেন। তবে তাঁদের দাবি যে এখনও পূরণ হয়নি তা বলাই বাহুল্য!

Advertisement