পাত্র-পাত্রীর সমানাধিকার বোঝাতে বিয়ের কার্ডে দাঁড়িপাল্লা!
Connect with us

বাংলার খবর

পাত্র-পাত্রীর সমানাধিকার বোঝাতে বিয়ের কার্ডে দাঁড়িপাল্লা!

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: গুয়াহাটির দুই আইনজীবী পাত্র-পাত্রী অজয় ও পূজার বিয়ের অভিনব কার্ড নেট দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছে। ভাইরাল হয়ে গিয়েছে তাঁদের বিয়ের কার্ডের ছবি। আমাদের সমাজ যতই এগোক না কেন, নারী ও পুরুষ সমান যতই বলা হোক না কেন, কোথাও না কোথাও এখনও সেই কথা সর্বত সত্য নয়।

নারীরা এখনো সব সময় সমান অধিকার পান না। তাই অজয়-পূজার এক অভিনব প্রয়াস। বিয়ের কার্ডের মাধ্যমে সমাজের কাছে এক বিশেষ বার্তা পৌঁছনোই তাঁদের উদ্দেশ্য। সেটা হল- নারী আর পুরুষ দু’জনেই সমান। তাদের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। বিবাহের মাধ্যমে এক হওয়ার পর একে ওপরের পরিপূরক যেন হয়। পুরুষদের সব সময় অগ্রাধিকার, সেটা ঠিক নয়। এই সমানাধিকারের বার্তা দিতেই তাঁদের বিবাহের কার্ডের বাঁ দিকে একটি তুলাযন্ত্রের ছবি দেওয়া হয়েছে। তুলযন্ত্রের এইরকম ছবি সাধারণত আদালতে দেখা যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে বিয়ের কার্ডে এই তুলেযন্ত্রের ছবি দৃশ্যমান এবং সেখানে পাত্র ও পাত্রীর নাম আছে। অর্থাৎ পূজা আর অজয় তথা সকল নারী ও পুরুষ সমান।

এরপর সেই কার্ডের প্রত্যেক অংশেই প্রতিফলিত হয়েছে আইনি কথা। হিন্দু ম্যারেজ আ্যক্টের নানান ধারার উল্লেখ আছে। তাঁরা যে সংবিধান মেনেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন, তাও জানানো হয়েছে। বিবাহ সম্পর্কিত বিভিন্ন আইনি ব্যাখ্যা, যেমন সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী দুই প্রাপ্ত বয়স্ক নারী ও পুরুষই বিবাহ করতে পারে, যেটা তাঁরা করছেন। আবার অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সংবিধানের ১৯ (১)(বি ) ধারা অনুযায়ী। এই ধারায় বলা আছে আমন্ত্রিতরা যেন শান্তি বজায় রেখে নিমন্ত্রণ রক্ষা করেন। অজয়-পূজার এই অভিনব ভাবনা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য। তাঁরা আইনজীবী হয়ে আইনের পরিভাষায় নিজেদের বিয়ের কার্ড তৈরি করে নিজেদের সৃজনশীল মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। আবার খুব সুন্দরভাবে নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের বিষয়টিকেও সবার সামনে তুলে ধরেছেন। তাঁদের এই ভাবনা সত্যি অভিনব। সকলেই প্রশংসা করেছেন।

Advertisement