খেলা-ধূলা
জামশেদপুরের সঙ্গে ড্র করেই অভিযান শুরু এসসি ইস্টবেঙ্গলের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ড্র দিয়েই এবারের আইএসএল অভিযান শুরু করল এসসি ইস্টবেঙ্গল। রবিবার, গোয়ার তিলক ময়দানে জামশেদপুর এফসি-এর বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেও ১-১ ড্র করল এসসি ইস্টবেঙ্গল। সেইসঙ্গে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে অপরাজেয় তকমাও ধরে রাখল ইস্টবেঙ্গল।
গত মৌসুমে জামশেদপুর এর বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে হারেনি লাল-হলুদ ব্রিগেড। এবারও ইস্টবেঙ্গলকে হারাতে পারল না জামশেদপুর। তবে রবিবার খেলার শুরুর দিকে নতুন দল নিয়ে নামা ইস্টবেঙ্গলকে বেশ আগোছালোই লাগছিল। তবে ম্যাচের ১৭ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ান স্টপার ফ্রাঞ্চোর ব্যাকভলিতে করা গোলে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। রেহনিশের থেকে ফেরত আসা বলে গোলের সামনে বাঁদিক থেকে ব্যাকপাস করেন পেরোসেভিচ। সেই নিখুঁত পাস থেকেই এই গোল করেন ফ্রাঞ্চো। কিন্তু সেই গোল ধরে রাখতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। বিরতির ঠিক আগে অধিনায়ক হার্টলি জামশেদপুরকে সমতায় ফেরান।
৪৩ মিনিটে কর্নার থেকে উড়ে আসা বল মাথা ছুঁইয়ে গোলের সামনে বাঁ দিকে হার্টলেকে দেন ভাল্সকিস। অরক্ষিত হার্টলের বুকে লেগে বল ঢুকে যায় গোলে। জামশেদপুরের ভাল্সকিস বিপজ্জনক স্ট্রাইকার হলেও এদিন তাঁকে বোতলবন্দি করে দেয় লাল-হলুদ ডিফেন্স। পাশাপাশি প্রথম ম্যাচে চিমাও মন ভরাতে পারলেন না। এতটাই খারাপ খেলেছেন যে দ্বিতীয়ার্ধে তাঁকে তুলে নিতে বাধ্য হন লাল-হলুদ কোচ দিয়াজ। রবিবার ক্রোয়েশিয়ার আন্তোনিও পেরোসেভিচ ও নাইজেরিয়ার ড্যানিয়েল চিমাকে সামনে রেখেই দল সাজিয়েছিলেন দিয়াজ। অন্য দিকে জামশেদপুরের কোচ আওয়েন কোইল সামনে রেখেছিলেন দলের প্রধান অস্ত্র নেরিয়ুস ভাল্সকিস, বরিস সিং ও সেমিনলেন দুঙ্গেলকে।
তবে এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই ডিফেন্স, মাঝমাঠ, আক্রমণ, বল কন্ট্রোল- মোটেও ভালো ছিল না। জামশেদপুরও যে আহামরি কিছু ছিল, এমনটাও নয়। কিন্তু ১৭ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে কাজের কাজটি করেন ফ্রাঞ্চো। তাঁর দর্শনীয় ব্যাকভলি জামশেদপুরের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে গতিপথ বদলে ঢুকে যায় গোলে। এই গোলের পরই ছন্দে ফিরতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। ৩৩ মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে থেকে আসা ক্রসে অসাধারণ ফিনিশ করে জালে বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন টমিস্লাভ। কিন্তু তিনি অফসাইডে থাকায় সেই গোল বাতিল হয়ে যায়।
তবে পেরোসেভিচের খেলা নজর কেড়েছে। বারবার বিপক্ষের গোলে হানা দিয়েছেন। তাঁকে আটকাতে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল জামশেদপুরের ডিফেন্ডারদের। ৩৮ ও ৩৯ মিনিটের মাথায় পরপর দু’টি আক্রমণে গোলের সুযোগ তৈরিও করেছিলেন। কিন্তু প্রথমবার তাঁর শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় এবং দ্বিতীয়বার জামশেদপুরের অধিনায়ক পিটার হার্টলে অসাধারণ ভাবে বল আটকে দেন। তবে জামশেদপুরও হাল ছাড়েনি। বারবার আক্রমণে উঠলেও ফিনিশিঙের অভাবে এবং ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডারদের তৎপরতায় তাদের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। অবশেষে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে গোল শোধ করেন অধিনায়ক পিটার হার্টলে। ম্যাচে সমতা ফেরানোর পর দ্বিতীয়ার্ধে শুরুটা দুরন্ত করেছিল জামশেদপুর। কিন্তু কাজের কাজ কিছু করতে পারেনি। উল্টোদিকে, দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম দশ মিনিটের পর থেকেই আবার ম্যাচে ফেরে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু গোল সংখ্যা বাড়াতে পারেনি তারাও। অবশেষে ১-১ গোলে ড্র করেই মাঠ ছাড়তে হল দুই দলকে।