বাংলার খবর
‘সারা জীবন শুধু কাজই করে গেলেন…’ তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ সন্ধ্যা রায়
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সোমবার সকালে প্রয়াত হয়েছেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের প্রবাদ প্রতীম পরিচালক তরুণ মজুমদার। বর্ষীয়ান পরিচালকের মৃত্যু সংবাদে এদিন কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যা রায়।
এদিন স্বামীর স্মৃতিচারণায় সংবাদ মাধ্যমের সামনে কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়েন সন্ধ্যা রায়। তিনি বলেন, ”কাজ পাগল মানুষ ছিলেন। সারাটা জীবন কাজই করে গেলেন। তাঁর কাজের মাধ্যমে তৈরি করে গিয়েছেন এক একটা শিল্পী। মানুষটাকে অনেক কাছ থেকে দেখেছি। আদ্যপান্ত সহজ সরল মানুষ। কাজের প্রতি এত নিষ্ঠা ভালোবাসা আর ক’জনের আছে? কাজ ছাড়া অন্য কিছুই চিন্তা করতে দেখিনি কোনও দিন। খাওয়া দাওয়া, আনন্দ করা কিছুই ছিল না তাঁর জীবনে। শুধু কাজ আর কাজ…সারা জীবন শুধু কাজই করে গেলেন। বিগত বেশ কিছু বছরে সেই কাজের ঢেউ বদলে গেল। তার জন্য অফারও কম পেয়েছে। আমি আশা করিনি এত তাড়াতাড়ি উনি চলে যাবেন। উনি আর নেই…”।
আরও পড়ুন: বুকের উপর গীতাঞ্জলি, শেষ যাত্রাতেও তরুণ মজুমদারের সঙ্গী রবীন্দ্রনাথ
‘তরুণ মজুমদারের অবদান ভোলার নয়’ বললেন মিঠুন চক্রবর্তী। ‘অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন’ জানিয়েছেন শিবাজী চট্টোপাধ্যায়। একজন শিক্ষাগুরুকে হারালাম বলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। আমৃত্যু আপসহীন ছিলেন তরুণ মজুমদার। মানুষের মনে বেঁচে থাকবেন তিনি বলেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: গান স্যালুটে না…শিল্পীর শেষ ইচ্ছাকে সম্মান জানাতে SSKM হাসপাতালে তোড়জোড়
‘চাওয়া-পাওয়া’ দিয়ে শুরু হলেও তাঁর উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলি হল-‘পলাতক’ (১৯৬৩), ‘বালিকা বধূ (১৯৬৭), ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’ (১৯৭৩), ‘গণদেবতা’ (১৯৭৮), ‘দাদার কীর্তি’ (১৯৭৯), (১৯৮৫), ‘আলো’ (২০০৩)। তাঁর গল্পে দর্শক দেখেছে সাহিত্যের সেরা এক সময়৷ তরুণ মজুমদারের পরিচালনাতেই বাংলা চলচ্চিত্র দুনিয়ায় পরিচিত হন তাপস পাল, দেবশ্রী রায়, মহুয়া রায়চৌধুরীর মতো শিল্পীরা। বাংলা সাহিত্যনির্ভর ছবিতে রবীন্দ্রসঙ্গীতের মাধুর্য ছিল তরুণ মজুমদারের ছবির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত তরুণ মজুমদার পরিচালিত ‘কাচের স্বর্গ’, ‘নিমন্ত্রণ’, ‘গণদেবতা’ এবং ‘অরণ্য আমার’ ছবিগুলি জাতীয় পুরস্কার পায়।