আন্তর্জাতিক
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ছুঁয়েছে আকাশ, পুতিনের দেশেও অসহায় অবস্থা সাধারণ নাগরিকদের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: টানা ২০ দিন ধরে অব্যাহত রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাশিয়ান (Russia) সেনাবাহিনীর একের পর এক মিসাইল হামলায় খড়কুটোর মত ইউক্রেনে বিল্ডিং-এর পর বিল্ডিং-এ ধস নামছে। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে গোলাগুলি বর্ষণ আর সাইরেনের শব্দ। বিধ্বস্ত অবস্থা ইউক্রেনবাসীর (Ukraine)। কিন্তু দুই দেশের এই যুদ্ধে মোটেও ভালো নেই রাশিয়ার সাধারণ নাগরিকরা।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন (Vladimir Putin) যখন ইউক্রেন দখল নিতে একের পর এক সেনাবাহিনী পাঠাচ্ছে তখন তাঁর নিজের দেশে ব্যবসাপাতি প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে জিনিসের আমদানি কমায় দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম রাশিয়ায় বর্তমানে আকাশ ছুঁয়েছে। ইতিমধ্যে পশ্চিমী দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের তরফে রাশিয়া থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়া হয়েছে। যুদ্ধ নিয়ে সারা বিশ্বের কাছে যাতে ভুল বার্তা না যায় তা রুখতে পুতিন প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যে সেদেশের বেশকিছু সোশ্যাল মিডিয়া সাইট নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Covid 19: বারাক ওবামার দ্রুত সুস্থতা কামনায় টুইট নমোর
আর এমন পরিস্থিতিতে গত ২৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকেই অনিশ্চয়তার মধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন রাশিয়ার সাধারণ নাগরিকরাও। যুদ্ধের ফলে শুধু ইউক্রেনের পরিবেশই এলোমেলো নয়, ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে রাশিয়ার জনজীবনও। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যান করে দেওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে প্রিয়জনের সঙ্গে যোগাযোগ। এমত অবস্থায় ‘BBC’ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মস্কোর এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, যুদ্ধ শুরুর চারদিন আগে অনলাইনে যে গ্রোসারির দাম ছিল ৫হাজার ৫০০ রুবেল গত দু’সপ্তাহতেই তা বেড়ে হয়ে গিয়েছে ৮০০০ রুবেল। এছাড়াও তিনি আরও জানান, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দুধের দামও অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গিয়েছে তাঁদের দেশে।
যদিও এই অবস্থায় অনেকেই প্রয়োজনীয় জিনিস মজুত করে রাখছেন। এদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ছাড়াও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না প্রয়োজনীয় ওষুধ। চাহিদা থাকলেও মিলছে না বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। শুধু তাই নয়, যুদ্ধের সময় নগদের জোগান ঠিক রাখতে কয়েকদিন আগেই টাকা তোলার উপর বেশকিছু শর্ত আরোপ করেছে রাশিয়ান ব্যাঙ্ক। এই অবস্থায় প্রয়োজনীয় নগদ তুলতে ATM-এর বাইরে গ্রাহকদের লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: চার রাজ্যে ব্যাপক মার্জিনে জয়লাভ, সংসদে প্রবেশ করতেই উঠল ‘মোদি’ শ্লোগান
শুধু তাই নয়, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধিয়ে নতুন করে সংকট তৈরি করছেন পুতিন। এরফলে যেমন আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসার কুপ্রভাব পড়বে তেমনই বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যাওয়ায় নিজের দেশেই ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে পুতিনকে।