বাংলার খবর
অবশেষে জামিন পেলেন সায়নী ঘোষ, মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল!
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: অবশেষে জামিন পেলেন তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। সোমবার বিকেল পৌঁনে ৫টা নাগাদ সায়নীকে তোলা হয় আগরতলা আদালতে। পুলিশ সায়নীকে দু’দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে।
পুলিশের সেই আবেদন খারিজ করে শুনানির পর তাঁকে জামিন দেন বিচারক। সায়নীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকেই দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নর্থ ব্লকের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা। তাঁরা এই বিষয় নিয়ে অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করার সময় চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে সেই সময় দেওয়া না হওয়ায় অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন তৃণমূল সাংসদরা। অবশেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে বিকেল চারটের সময় অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার কথা জানান। সেইমতো তৃণমূলের ১৭ সাংসদ অমিত শাহের বাসভবনে গিয়ে তাঁকে ত্রিপুরা নিয়ে কথা বলেন। তার আধ ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পান সায়নী। জামিন পাওয়ার পর সায়নী ঘোষ জানিয়েছেন, ‘ত্রিপুরায় অপশাসন চলছে। মানুষ দেখছে, মানুষ বিচার করবে। পুলিশ, সিআরপিএফ দিয়ে টার্গেট করা হচ্ছে।
‘ সোমবার সকালেই সায়নীকে দেখতে থানায় পৌঁছে গিয়েছিলেন ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ, সুস্মিতা দেবরা। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সঞ্জয় বসু, শঙ্কর লোধ এবং অগ্নিশ বসুও। থানায় সায়নীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ আইনি আলোচনায় করেন ওই তিন আইনজীবী। এরপর সোমবার দুপুরে সায়নীকে আদালতে পেশ করা হলে সেখানে তাঁর জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন আইনজীবীরা। শেষ পর্যন্ত আদালতে তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়েছে। আবার ত্রিপুরায় নেতা-নেত্রীদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপ চাইছে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে যে কোনও ঘটনায় মানবাধিকার কমিশন সক্রিয় হলেও বিজেপি শাসিত রাজ্যের ক্ষেত্রে হয় না। তাই তৃণমূলের দাবি, অবিলম্বে যেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নিজে ত্রিপুরা যান অথবা কোনও প্রতিনিধি পাঠান। প্রতিনিয়ত সে রাজ্যে যে রাজনৈতিক সন্ত্রাস চলছে, তাতে মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।