ভাইরাল খবর
লালবাঁধের ঠান্ডা জলে ২০২২ ডুব দিয়ে বর্ষবরণ বিষ্ণুপুরের সদানন্দ দত্তের!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ :মানুষ নানা ভাবেই বর্ষবরণের সেলিব্রেশন করে থাকেন। কিন্তু বিষ্ণুপুরের সদানন্দ দত্তের বর্ষবরণের পদ্ধতি জানলে চোখ কপালে উঠবে প্রত্যেকের। বিষ্ণুপুরের বাহাদুগঞ্জ এলাকায় দুস্থ পরিবারে জন্ম সদানন্দ দত্তের। ছোট থেকেই জলের প্রতি টান। ছোটবেলা থেকেই সময় পেলেই ছুটে যেতেন বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজাদের খনন করা সুবিশাল লালবাঁধে।
সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে সাঁতার কাটতেন। সেই সদানন্দ চান বিশ্ব রেকর্ড করতে। সেই উদ্যেশ্যে গত কয়েকবছর ধরেই লালবাঁধের হাড় কাঁপানো ঠান্ডা জলে নববর্ষের দিন বছর সংখ্যার সমসংখ্যক ডুব দিয়ে বর্ষবরণ করার অভিনব কর্মকান্ড শুরু করেন। চলতি বছরও নববর্ষের দিন লালবাঁধের জলে প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট ধরে একনাগাড়ে ২০২২টি ডুব দিলেন সদানন্দ! তাঁর এই ‘বর্ষবরণের ডুব’ দেখতে প্রতিবছরই বছরের প্রথম দিনেই এই লালবাঁধের ধারে ভিড় জমান বিষ্ণুপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষেরা। এমনকি অন্যান্য রাজ্য থেকেও সদানন্দর বর্ষবরণ দেখতে হাজির হন অসংখ্য মানুষ। তাঁর এই অদ্ভুত বর্ষবরণের উপায় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে সদানন্দ জানিয়েছেন, ‘মানুষ তো অনেক রকম ভাবেই নতুন বছরকে বরণ করে।
আমি এই লালবাঁধের জলে বছরের সংখ্যার সমসংখ্যক ডুব দিয়েই নতুন বছরকে স্বাগত জানাই। এটা ২০২২ সাল। তাই এবার ২০২২টা ডুব দিলাম। ভগবান এবং সকলের আশীর্বাদেই আমি এটা প্রতিবছর করি। আর যতদিন বাঁচব ততদিন করব। আমি কোনও বিজ্ঞাপন দিই না। তা সত্ত্বেও প্রতি বছর এই দিনে হাজার হাজার মানুষ আমার ডুব দেওয়া দেখতে আসেন। বিষ্ণুপুর ছাড়াও কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই থেকেও প্রচুর মানুষ আছেন। এখানে কারও বাড়িতে আত্মীয় এলে তারাও চলে আসেন। এই আনন্দেই আমার কষ্টটা চাপা পড়ে যায়। বিষ্ণুপুরের মানুষ আমাকে খুবই ভালোবাসে। আমাকে এক ডাকে সবাই চেনে। এখন আমার লক্ষ্য গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তোলা। ২০১৭ সালে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু টাকা পয়সার কিছু সমস্যার জন্য সেটা আটকে রয়েছে। তবে চেষ্টা করে যাচ্ছি।’