খেলা-ধূলা
গুজরাতের গ্রামে ভুয়ো ক্রিকেট লিগে প্রতারিত রুশ পান্টার, আটক চার
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: এতদিন ক্রিকেটে বেটিংয়ের অভিযোগ শোনা যেত। এবার আস্ত একটা ক্রিকেট লিগই ভুয়ো বলে জানা গেল! বিশ্বাস হচ্ছে না তো! কিন্তু বাস্তবে এমন ঘটনাই ঘটেছে গুজরাতে। বিদেশের বুকিদের (পান্টার) বোকা বানাতে ভুয়ো ক্রিকেট লিগ আয়োজন করা হয়েছিল। রাশিয়ান বুকিদের প্রতারণা করার লক্ষ্যেই গুজরাতের ভাদনগরের একটি ছোট গ্রামে এক জাল ক্রিকেট লিগ চালানোর জন্য চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
এই ভুয়ো ক্রিকেট লিগের জন্য অভিযুক্তরা একটি নিখুঁত সেট আপ তৈরি করেছিল। যা দেখে বোঝার উপায় ছিল না গোটা বিষয়টাই সম্পূর্ণ ভুয়ো। ম্যাচগুলো ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রসারের জন্য একটি সঠিক লাইভ সেটআপ ছিল। এবং একটি বাস্তব ক্রিকেট ম্যাচে গ্যালারি পরিবেশ যেমন হয় তাও তৈরি করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, তারা একজন ভাষ্যকারকেও নিযুক্ত করেছিল। যিনি আবার প্রখ্যাত ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলের গলা নকল এবং অনুকরণ করে ম্যাচের ধারাভাষ্য দিত।
একটি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হত এই ভুয়ো ক্রিকেট লিগের ম্যাচগুলো। এবং এই ম্যাচে তারা রাশিয়ার তিনটি শহর Tver, Voronezh এবং Moscow এর বুকিদের কাছ থেকে বাজি গ্রহণ করেছিল। তারা জাল লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে প্রায় পৌঁছেই গিয়েছিল। কিন্তু সেমিফাইনালে পৌঁছানোর আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,
ভাদনগরের মলিপুর গ্রামে অভিযুক্তরা প্রথমে একটি ছোট খামার কেনেন। খামারটি পরিষ্কার করে সেটিকে ক্রিকেট মাঠের মতো তৈরি করা হয়। পিচও তৈরি করা হয়েছিল এবং হ্যালোজেন আলোর মাধ্যমে ফ্লাডলাইটের সেটআপ তৈরি করা হয়েছিল। সেইসঙ্গে ম্যাচের ধারাভাষ্য এবং ম্যাচের লাইভ সম্প্রচারের জন্য মাল্টি-ক্যাম সেটআপও করা হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, ম্যাচ খেলার জন্য গ্রামবাসীদেরই ভাড়া করেছিল অভিযুক্তরা। গ্রামের শ্রমিক ও যুবকদের নিয়েই ভুয়া দল তৈরি করা হয়। স্থানীয় পুলিশের মতে, বেটিঙের উদ্দেশ্যেই এই লিগের আয়োজন করা হয়েছিল। এবং রাশিয়ান বাজারে বিশেষভাবে সরবরাহ করা হয়েছিল।
ইন্টারনেট থেকে ক্রাউড নয়েজ সাউন্ড ইফেক্ট ডাউনলোড করে ব্যবহার করায় পরিবেশটিকে রাশিয়ায় বসে থাকা দর্শকদের কাছে আসল করে তুলেছে। একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে এই ভুয়ো লিগ সম্প্রচার করে বেটিং করা হচ্ছিল। মেহসানা পুলিশ এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে এবং এই হাওয়ালা চ্যানেলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করছে। এই চ্যানেলের মাধ্যমেই প্রতারণা চলছিল। রাশিয়া থেকে অপারেট করা এই কনের পিছনের মূল পরিকল্পনাকারী আসিফ মহম্মদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।