ভাইরাল খবর
ত্রিবেণীতে বিএসএফ জওয়ানের বাড়িতে ভোর রাতে ডাকাতি, পুলিশ হাতেনাতে ধরল তিন ডাকাতকে
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বিএসএফ কর্মীর বাড়িতে ভোর রাতে ডাকাতি। বাধা দিলে মারধর, মাথা ফাটিয়ে লুট নগদ ও গহনা। সময়ে পুলিশ পৌঁছে গিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির ত্রিবেণী পালপাড়ায়।
মগড়ার ত্রিবেণীর পালপাড়ায় প্রতাপ সিঙের বাড়িতে সোমবার রাত দু’টো নাগাদ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় দুষ্কৃতির দল। প্রতাপ বিএসএফ-এ কর্মরত। রাজস্থান পোস্টিং তাঁর।ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন।প্রতাপ জানান, সবাই তখন ঘুমিয়ে ছিল বাড়িতে। রান্না ঘরের জানলা ভেঙে ঘরে ঢোকে দুষ্কৃতিরা। দোতলায় তাঁর বাবা হরিনাথ সিং, নাতি প্রতীককে নিয়ে শুয়ে ছিলেন। ঘরে ঢুকে প্রথমে হরিনাথকে মারধর করে লুটপাট চালাতে থাকে দুষ্কৃতিরা। দাদুকে মারতে দেখে দশ বছরের প্রতীক দুষ্কৃতিদের উপর ঝাঁপিয়ে পরে। তাকেও মারধর করে দুষ্কৃতিরা। আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভয় দেখায়।নাতিকে মারছে দেখে দাদু দুষ্কৃতিদের বাধা দিলে তারা লোহার রড দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় হরিনাথ সিঙের।এর মধ্যেই নিচের ঘরের লোকজন উঠে পরে।
ডাকাত পড়েছে বুঝতে পেরে এক পরিচিতকে ফোন করে পুলিশকে খবর দিতে বলেন প্রতাপ। কিছুক্ষণের মধ্যেই মগড়া থানার পুলিশ হাজির হয়ে যায়। তিনজনকে বাড়ি থেকেই হাতেনাতে ধরে ফেলে। দুষ্কৃতি দলে পাঁচ-ছয় জন ছিল বলে দাবি করেছেন প্রতাপ। বাকিরা পুলিশ দেখে নগদ আশি হাজার টাকা এবং পনেরো লক্ষ টাকার গহনা নিয়ে চম্পট দেয়। মেয়ের বিয়ে ১ ডিসেম্বর। তার জন্য কেনাকাটা চলছিল সিং বাড়িতে। অনেক টাকা পাওয়া যাবে ভেবেই হয়তো হানা দেয় দুষ্কৃতিরা। পুলিশ ধৃতদের জেরা করে দলের বাকি সঙ্গীদের খোঁজ চালাচ্ছে।হরিনাথ বলেছেন, ‘আমি নাতিকে নিয়ে শুয়ে ছিলাম।তখন ডাকাররা ঢুকে আমাকে বলে শুয়ে থাক, না হলে মেরে দেবো। আমাকে ওরকম করছে দেখে নাতি তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পরে, ও ছোটো বোঝে না। দুষ্কৃতিরা যখন নাতিকে মারতে লাগল আমি ওদের বাধা দিলাম। তখন রড দিয়ে মারল আমার মাথায়।ছোটো মেয়ের বিয়ের কেনাকাটা চলছে। তার গহনা ছিল। বড় মেয়ে এসেছে। তার কাছে নগদ টাকা ও গহনা ছিল। সব নিয়ে গিয়েছে। উপর-নিচের সব ঘরেই লুটপাট চালাতে থাকে।পুলিশকে ধন্যবাদ দেবো সঠিক সময়ে এসে যাওয়ায়।তিন জনকে ধরতে পেরেছে।এখন লুটের মাল ফেরত পেলেই ভালো।’