বাংলার খবর
চাইনিজ পুতুল কিনতে গিয়ে প্রতারকদের ফাঁদে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: চাইনিজ ডল কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক! খোয়ালেন প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা। ঘটনায় রাজগঞ্জ থানায় দায়ের করা হয় লিখিত অভিযোগ। এরপরই পুলিশের জালে ধরা পড়ল শিলিগুড়ির এক ব্যবসায়ী। ধৃতের নাম পবন দাস (২৫)।
শনিবার তাঁকে জলপাইগুড়ি পাঠানো হয়। অন্যদিকে, এই ঘটনায় জড়িত বাকীদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজগঞ্জ ব্লকের বেলাকোবা এলাকার এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সম্প্রতি পুলিশে অভিযোগ করেন, ২০২০ সালের মার্চ মাসে শিলিগুড়ির হংকং মার্কেটের উত্তম রায় নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সেই ব্যক্তির থেকে একটি চাইনিজ পুতুল কেনার জন্য প্রায় কয়েক হাজার টাকা বায়না করেছিলেন ওই শিক্ষক। কথা ছিল ১ লক্ষ টাকা মূল্যের ওই পুতুল বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার পর বাকি টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। যদিও কথা মতো পুতুল না পৌঁছেই শিক্ষককে ব্ল্যাকমেল করা শুরু করে ওই ব্যবসায়ীরা।
অভিযোগ, ফোন মারফৎ ওই শিক্ষককে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী জানিয়েছিলেন পুতুলটি নিয়ে যাওয়ার সময় আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ পাকড়াও করেছে। এরপর আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ অফিসার জাকির হুসেনের পরিচয় দিয়ে ওই শিক্ষককে গ্রেফতারের হুঁশিয়ারি দিয়ে ২ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। তবে এখানেই শেষ নয়। পরবর্তীতে বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করে ধাপে ধাপে নগদ ও ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে ওই শিক্ষকের থেকে মোট ৩৭ লক্ষ টাকা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ। শিক্ষকের আরও অভিযোগ, জলপাইগুড়ির জেলাশাসক পরিচয় দিয়ে বিষয়টি মিটমাটের জন্য বড় অংকের টাকা দাবি করা হয়।
এরপরই গত নভেম্বর মাসে রাজগঞ্জ থানায় দায়ের করা হয় লিখিত অভিযোগ। তদন্তের শুরুতেই পুলিশ জানতে পারে ওই টাকা শিলিগুড়ির এক বার ব্যবসায়ী পবন দাস সহ প্রিয়াংকা দাস, পাপন দাস ও প্রকাশ পালের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ওই টাকা জমা পড়েছে। এরপরই শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে বার মালিক পবন দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাজগঞ্জ থানার আইসি পঙ্কজ সরকার জানিয়েছেন, চাইনিজ পুতুল বিক্রির নামে একটি চক্র এক শিক্ষকের থেকে ৩৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ জমা পড়ে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।