ফের প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর ও ভগবানপুরের বাসিন্দারা
Connect with us

বাংলার খবর

ফের প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর ও ভগবানপুরের বাসিন্দারা

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: হাসপাতাল থেকে বেরোতে চাইছে রোগী। অথচ একটু সুস্থ হতে না হতেই তাকে ফের সেই হাসপাতালে চলে যেতে হচ্ছে! দফায় দফায় বৃষ্টিতে পূর্ব মেদিনীপুরে পটাশপুর ও ভগবানপুরের পরিস্থিতি অনেকটা এরকমই। জল কিছুটা নামতে না নামতেই নিম্নচাপের জেরে আবার দুর্ভোগ শুরু। ফের প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ও ভগবানপুরের বাসিন্দারা। কয়েকদিন বৃষ্টি বন্ধ থাকায় বন্যা কবলিত এলাকা থেকে জল নামতে শুরু করেছিল।

ত্রাণ শিবির থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু পুজো কাটতে না কাটতেই নিম্নচাপের জেরে ফের বৃষ্টি গুলিয়ে দিয়েছ সবকিছুই। দু’দিনের ভারী বৃষ্টিতে ফের জল জমতে শুরু করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ও ভগবানপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। এমনটা চলতে থাকলে ফের প্লাবনের আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা। কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্রথম জল ঢুকে পটাশপুরের সঙ্গে প্লাবিত হয়েছিল ভগবানপুরও। তারপর থেকে দফায় দফায় বৃষ্টিতে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়েছে। এক মাসের ওপর হয়ে গেলেও এখনও পটাশপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলবন্দী।

জলের তলায় চাষের জমি। ঘরের সামনেই যেন উঠে এসেছে পুকুর। পটাশপুরে পুজোর বিসর্জন দিতে হয়েছে বন্যার জলে। লক্ষ্মীপুজোও জলবন্দী হয়ে কাটবে। কালীপুজোতেও কি ছবিটা বদলাবে! সংশয়ে এলাকাবাসী। স্থানীয় গৃহবধূ মাধুরী দাস বলছিলেন, ‘গত একমাস ধরে আমরা অন্য একজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। বাড়িতে এক কোমরের উপর জল ছিল। মাঝে একদিনের জন্য বাড়িতে এসেছিলাম। আবার বৃষ্টিতে জল জমতে শুরু করেছে। এরপর কি করব, কোথায় যাবো, কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।’ যদিও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বন্যাদুর্গতদের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চলছে মেডিক্যাল ক্যাম্পও। কিন্তু এই জলযন্ত্রণা থেকে কবে মুক্তি পাওয়া যাবে, তার সদুত্তর কারও কাছে নেই।

Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.