চার বছর হয়ে গিয়েছে এখনও ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার সুবিচার পাইনি ইসলামপুর দাড়িভিট গ্রাম, CBI তদন্তের আশায় ওঁরা
Connect with us

বাংলার খবর

চার বছর হয়ে গিয়েছে এখনও ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার সুবিচার পাইনি ইসলামপুর দাড়িভিট গ্রাম, CBI তদন্তের আশায় ওঁরা

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ:  রামপুরহাট গণহত্যা কান্ডে সাত দিনের মধ্যেই সিবিআইকে তদন্তের ভার দিয়ে দেওয়া হল। অথচ —এনিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে দাড়িভিট গ্রামে। মৃত ছাত্রদের পরিবার আজও আশায় রয়েছেন সিবিআই তদন্ত হবে আর তাঁরা সুবিচার পাবেন।

২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বাংলা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর দাড়িভিট স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলনে নেমেছিলেন। সেদিন ছাত্রদের আন্দোলন ঠেকাতে পুলিশ গুলি চালিয়েছিল। অভিযোগ, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল দাড়িভিট হাইস্কুলের দুই প্রাক্তন ছাত্র তাপস বর্মন ও রাজেশ সরকারের। এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। নিহত ছাত্রদের পরিবার ও গ্রামবাসীদের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলনে নেমেছিল বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে অশান্তি আমাকে বলুন সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নেব’:মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Advertisement

সেইসময় বিজেপিতে থাকা বর্তমান তৃনমূল নেতা নিহত ছাত্র তাপস ও রাজেশের পরিবারকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করানোর পাশাপাশি সিবিআই তদন্তের দাবি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। কিন্তু তারপর পার হয়ে গিয়েছে চার চারটে বছর। সিবিআই তদন্ত দেয়নি। রাজ্য সরকার সিআইডি তদন্ত শুরু করেছিল। নিহত ছাত্র রাজেশ সরকারের বাবা নীলকমল সরকার ও নিহত ছাত্র তাপস বর্মনের মা মঞ্জু বর্মন বলেন, ‘বিজেপি আমাদের হয়ে আন্দোলন ও মামলা করেছিল।’

আরও পড়ুন: ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়! জেলে বসেই IIT-র বিজ্ঞানী হতে চাই সুরজ

সিবিআই তদন্তের দাবি নিয়ে তৎকালীন বিজেপি নেতা মুকুল রায় মামলা করিয়েছিলেন। কিন্তু আজ সেই মুকুল রায় তৃনমূল কংগ্রেসে। মামলার কি অবস্থা তাঁরা কিছুই জানেন না। এদিকে রামপুরহাট গণহত্যা কান্ডে সাত দিনের মধ্যেই সিবিআই এর হাতে তদন্তের ভার দিয়ে দিলো উচ্চ আদালত। অথচ পুলিশের গুলিতে দুই ছাত্রের মৃত্যু ও একজনের আহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য নেই। ফলে দাড়িভিট গ্রামে নিহত ছাত্রদের পরিবারে জন্মেছে ক্ষোভ আর হতাশা। আবারও নতুন করে সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন দাড়িভিট গ্রামে নিহদের পরিবার।

Advertisement