মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস পেলেই ঘরে ফিরবেন বগটুইয়ের গ্রামছাড়া বাসিন্দারা
Connect with us

বাংলার খবর

মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস পেলেই ঘরে ফিরবেন বগটুইয়ের গ্রামছাড়া বাসিন্দারা

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রস নিউজ: বগটুইয়ে নিহত পরিবারের সদস্য মিহীলাল শেখ এখন তার শ্বশুরবাড়ি বীরভূমের বাতাসপুর গ্রামে গিয়ে রয়েছেন। এদিকে বৃহস্পতিবার রামপুরহাটে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর আসার আগে সেখানে প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত। যদিও কোনও পুলিশি প্রহরা বা নিহতদের পরিবারের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি বলে অভিযোগ। এদিকে এই ঘটনায় নিহতদের পরিবার চাইছেন, যেহেতু রামপুরহাট যাওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে তাদের। তাই মুখ্যমন্ত্রী যদি এখানে এসে তাদের সঙ্গে কথা বলে ভালো হয়।

এদিন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা জানান,” মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তারা থাকবে যদি মুখ্যমন্ত্রী তাদেরকে সঠিক বিচার পাইয়ে দিতে পারে। তাহলে তারা সিবিআই বা অন্যকিছু তদন্ত চাই না। কিন্তু সঠিক তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের সাজা দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে এমন কথা বলতে হবে বলে দাবি করছে নিহতদের পরিবারের সদস্য মিহির লাল শেখ।”

অন্যদিকে সোমবার রাত থেকেই খবরের শিরোনামে রয়েছে বীরভূম জেলার রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম। তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্যরাজনীতি। সোমবার রাতে পঞ্চায়েত উপপ্রধান খুনের ঘটনার পরই বগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় দুই শিশু সহ মোট আটজনের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘রাস্তা কি মুখ্যমন্ত্রীর বাবার সম্পত্তি?’ বগটুইয়ে যেতে না পেরে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ অধীরের

এদিকে বুধবারই দফায় দফায় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ শুরু করেছে বিজেপি সহ বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। শুধু তাই নয় বৃহস্পতিবার বগটুই গ্রামে নিহত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। অভিযোগ, তিনি গেলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে মাঝপথেই অধীর চৌধুরীর গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। ঘটনার প্রতিবাদে বগটুই যাওয়ার আগেই রাস্তায় বসে পড়েন কংগ্রেস নেতা সহ দলের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।

বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী নেতাজি ইন্ডোরে বলেছিলেন, ‘আমরা কোনও দলকে কোথাও যেতে বাধা দিই না।’ সেই মুখ্যমন্ত্রী এমন কথা বলার পরেও কি করে তিনি পুলিশি বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন তা নিয়েও এদিন সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন অধীর চৌধুরী। এদিন রাস্তায় বসে তিনি বলেন,”রাস্তা কি মুখ্যমন্ত্রীর বাবার সম্পত্তি? কোথাও যেতে হলে আটকে দেওয়া হবে।” এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ”উনি MLA আর আমি MP। উনি ২ লাখ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন।আমি ১৪ লাখ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন কোথাও আটকানো হবে না। তাহলে আটকানো হচ্ছে কেন? ঘটনাস্থলে বিজেপি যেতে পারে তাহলে কংগ্রেস নয় কেন?”

Advertisement

অন্যদিকে, রামপুরহাটের ঘটনার আঁচ এশে পড়েছে বিধানসভাতেও। বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা ওয়ালে নেমে এদিন বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এদিনের বিধানসভার অধিবেশন ওয়াকআউট করে বিজেপি। এছাড়াও এদিন বগটুই যাওয়ার পথে BJP রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন,
”মুখ্যমন্ত্রীর অনেক আগে যাওয়া উচিৎ ছিল। অন্যদের যেতে দিয়েছি এই বলে অজুহাত তৈরি করছেন মুখ্যমন্ত্রী।”
তিনি আরও বলেন, ”ঘটনাস্থলের জিরো পয়েন্টে গিয়ে ঘটনা অনুধাবন করব। আমাদের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন উচ্চপদস্থ প্রাক্তন আমলারা। ওখানে যা দেখবো তা সর্বভারতীয় সভাপতিকে জানাবো এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ও আমরা দলগতভাবে বিষয়টি জানাবো।

আরও পড়ুন: স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌনতা ধর্ষণের সমান! কর্ণাটক হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়

মুখ্যমন্ত্রীও আজ রামপুরহাট যাচ্ছেন সেই প্রসঙ্গে বিজেপি সভাপতি বলেন, ”উনার রাজ্য ওনার অনেক আগেই যাওয়া উচিত ছিল। যেদিন ঘটনা ঘটেছে তার পরপরই ওনার যাওয়া উচিত ছিল। এখন অজুহাত যে অন্যদের যেতে দিয়েছি। বিষয়টা তা নয়। উনি ওখানে গেলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। এখন আমরা ওখানে গেলে ওনার আপত্তি আছে কিনা সেটা উনি বলতে পারবেন। আমরা চাই নিরপেক্ষ তদন্ত হোক কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে।”

Advertisement