দেশের খবর
প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে এবারও রাজ্যের ট্যাবলোতে না প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: গত বছরের পর এই বছরও প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে দিল্লির রাজপথে দেখা যাবে না বাংলার ট্যাবলো। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে এই ট্যাবলোকে কেন্দ্র করে আবারও কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে শুরু হয়েছে চাপান উতোর।
প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে রাজধানীর রাজপথে কুচকাওয়াজের পর বিভিন্ন রাজ্যের সুসজ্জিত ট্যাবলো অংশগ্রহণ করে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তৈরি বিশেষ কমিটি ট্যাবলোর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের থিম ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই থিম বেছে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীকে মর্যাদা দিতে ২৩ জানুয়ারি থেকেই প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে এবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আইএনএ বিষয়ক ট্যাবলো পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
জানা গিয়েছে রাজ্যের এই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তবে কেন্দ্রের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি প্রকাশ্যে আসেনি। গত বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসেও রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, জল ধরো জল ভরো-র মতো বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্প নিয়ে ট্যাবলোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবারও একই ঘটনা ঘটায় কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, ‘গতবছরও যখন আমাদের ট্যাবলো বাতিল করেছিল তখনও কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। এ বারও তাই হল। গত বছরও আমরা সংসদে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলাম। এ বছরও করব। তবে ট্যাবলো দিলেও ওরা ভোট পাবে না, না দিলেও ভোট পাবে না।’ তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বাংলার সঙ্গে চিরকালই এই ধরণের অন্যায় আচরণ করা হয়।
যা বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও বাংলার মানুষকে অপমান করে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। এই ট্যাবলো যেন বাতিল না করা হয় সেই নিয়ে আবার কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হবে।’ তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় টুইটারে লিখেছেন, ‘প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে নেতাজির ট্যাবলো বাদ দিয়ে নেতাজির নেতৃত্বে আইএনএ-এর লড়াইকে ছোট করল কেন্দ্রীয় সরকার। নেতাজির জন্মদিবসকে এখন থেকে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করার ঘোষণা করে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পণ্ডিতরা ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের পুনর্লিখন করলেন। লজ্জা!’