বাংলার খবর
রাজ্য সরকারি কর্মীদের স্বস্তি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চার সপ্তাহে মিলবে ২৫% বকেয়া ডিএ

রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘভাতার (ডিএ) দাবিতে দীর্ঘদিনের আইনি লড়াইয়ে বড় নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানায়, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মেটাতে হবে।
ডিএ মামলার শুনানিতে বিচারপতিরা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। এখন অন্তত ৫০ শতাংশ বকেয়া মিটিয়ে দিন।” তবে রাজ্যের তরফে প্রবল আপত্তি উঠে। আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, “৫০ শতাংশ ডিএ দেওয়া আর্থিকভাবে অসম্ভব। এতে রাজ্যের আর্থিক ভারসাম্য ভেঙে পড়বে।” এর উত্তরে বিচারপতির মন্তব্য, “এটা আপনারই কর্মচারীদের প্রাপ্য। অসুবিধার কথা নয়।”
রাজ্য দাবি করে, মহার্ঘভাতা কোনও সাংবিধানিক অধিকার নয়। এই দাবির জবাবে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, “হ্যাঁ, ডিএ সাংবিধানিক অধিকার না হলেও, দিনের পর দিন বকেয়া না মেটানোও গ্রহণযোগ্য নয়।” এরপরই আদালত নির্দেশ দেয়, বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি ও কর্মচারীদের স্বার্থ বিবেচনায় চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে বকেয়া ডিএ-র কমপক্ষে ২৫ শতাংশ মেটাতে হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে রাজ্য সরকারি কর্মীরা কেন্দ্রের তুলনায় প্রায় ৩৫ শতাংশ কম ডিএ পাচ্ছেন। বর্তমানে তারা পান ১৮ শতাংশ হারে ডিএ। এই অসামঞ্জস্যতা দূর করতেই বহুদিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। ইতিমধ্যে ১৮ বার মামলার শুনানি পিছিয়েছে।
ডিএ আন্দোলনকারী সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “শীর্ষ আদালতের রায়ে আজ প্রমাণিত, ডিএ আমাদের প্রাপ্য। আমরা আশা করি চূড়ান্ত রায়ে আমাদের পুরো বকেয়া ডিএ-ই রাজ্যকে দিতে হবে।”
এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০২৫ সালের আগস্ট মাসে।