বাংলার খবর
মিলল স্বস্তি, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্ত আলু চাষীদের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ইসরো অ্যাপের তোলা স্যাটেলাইট ছবি দেখে আলু চাষীদের ক্ষতি পূরন! সঠিক ক্ষতিপূরণ না পেয়ে হুগলি জেলার বিভিন্ন ব্লকে কৃষি দপ্তরে সমবায়ে কৃষক বিক্ষোভ দেখায় আলু চাষীরা। যার জেরে নরেচরে বসে প্রশাসন। এরপরই হুগলি জেলা শাসকের দপ্তরে বৈঠকে বসেন জেলা শাসক পি দীপাপ প্রিয়া, পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না, সপ্তগ্রামের তপন দাশগুপ্ত চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার, তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহরায়, জেলা কৃষি দপ্তরের আধিকারীক, সমবায় দপ্তর এবং বীমা কোম্পানীর আধিকারীকরা, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমান ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষরা।
সেই বৈঠকে হায়দ্রাবাদের ইসরো অ্যাপ নিয়ে আলোচনায় উঠে আসে টেকনিক্যাল সমস্যার কথা। যে অ্যাপের মাধ্যমে ছবি তুলে আলু চাষীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় সেটি একটি প্রি ইন্সট্রাক্টিভ অ্যাপ। ফলে বিশাল অংকের চাষীদের ক্ষতিপূরণ ধরতে ব্যার্থ হয় স্যাটেলাইট ছবি। হুগলি জেলায় প্রায় ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। এবার মরসুমের শুরুতে প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল। অকাল বর্ষনে সেই আলু নষ্ট হয়। কৃষকদের বীমা করানো থাকলেও দেখা যায় ক্ষতিপূরণের টাকা আসেনি তাদের। শুরু হয় ক্ষোভ বিক্ষোভ। ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ২৩৬ জন আলু চাষী ক্ষতির শিকার হলেও ৭৮ হাজার চাষী ক্ষতিপূরণের টাকা পান। চাষীদের ক্ষোভ দেখে প্রশাসন বাস্তব অবস্থা খতিয়ে দেখে। বোঝা যায় কোনো টেকনিক্যাল সমস্যা হয়েছে।
আজ জেলা শাসক দপ্তরে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় আরো ১ লক্ষ ৬ হাজার কৃষক বীমার টাকা পাবেন। অর্থাৎ ক্ষতিগ্রস্থ সব চাষীই বীমার টাকা পাবেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, কৃষি মন্ত্রি কৃষি উপদেষ্টার কাছে আমরা আবেদন করেছিলাম যে এই বীমার টাকা দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য। বীমা যে কোম্পানির তালিকা তৈরি করেছিল তার থেকে অতিরিক্ত এক লক্ষ ৬ হাজার কৃষক তারা ক্ষতিপূরণ পাবে। শস্য বীমার আওতায় যারা পড়েছেন অর্থাৎ যারা অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন প্রত্যেকেই যাতে তাদের বীমার টাকা পান সেটা দেখতে হবে। দিন পনেরোর মধ্যেই আশা করছি এই টাকা কৃষকরা পেয়ে যাবেন।