দেশের খবর
যৌতুক দানে না, ছাদনাতলায় কনেকে ফেলে চলে গেল বর
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ‘পণ নেওয়া, পণ দেওয়া’ দুই’ই সমান অপরাধ। একবিংশ শতাব্দীর গোঁড়ায় এসে এই নিয়ে বার-বার পুলিশ প্রশাসন এবং সরকারের তরফে মানুষকে সচেতন করতে প্রচার চালানো হচ্ছে। পণ নেওয়া যে দণ্ডনীয় অপরাধ তা জেনেশুনেও পণের লোভ ছাড়তে পারছেন এখনও সমাজের কিছু মানুষ।
পাত্র পক্ষের দাবি মতো পণ এবং সোনাদানা দিতে না পারায় বিয়ের আসর থেকেই উঠে গেল বর। বন্ধ হয়ে গেল বিয়ে। ডিজিটাল যুগেও এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে ঝাড়খণ্ডের রাঁচি শহরে। জানা গিয়েছে, বরপক্ষের দাবি মতোন উপকৌটন দিতে না পারায় বিয়ে বন্ধ করে দেয় ছেলের বাড়ির লোকজন। তাঁদের বোঝাতে গেলে দুই পক্ষই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের রাঁচি শহরের এক বিয়ে বাড়িতে এই ধরণের অপ্রত্যাশিত ঘটনাটি ঘটেছে। বিয়ে করতে কনের বাড়ি চলে এসেছে স্বয়ং বর সঙ্গে এসেছে বরযাত্রীও। বিয়ের জন্য সুন্দর করে সাজানো হয়েছে ছাদনাতলা। কিন্তু বিয়ে করতে গিয়ে বাঁধ সাধে মালা বদলের অনুষ্ঠানের সময়। মালাবদল হওয়ার আগে মেয়ের বাবার কাছে পণের জন্য আরও ৫ লাখ টাকা এবং সোনাদানা দাবি করেন বরপক্ষ। বিয়ের দিনই তা দিতে কনের বাবা অপরাগ প্রকাশ করলে বেঁকে বসেন বরপক্ষ। বিয়ের আসর ছেঁড়ে উঠে যান। বাতিল হয়ে যায় বিয়ে।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতেই টুইট বার্তায় শুভেচ্ছা মোদি-যোগী, শাহ-বিপ্লব দেবের
পরবর্তীতে ওই কনেও বিয়ে বাতিল করে দেয় বলে জানা গিয়েছে। মুখে যতই আমরা পণ দেওয়া পণ নেওয়া অপরাধমূলক ঘটনা এই বুলি আওড়ায় না কেন, আমরা যে এখনও পুরোপুরি সভ্য হতে পারিনি তা প্রমাণ দেয় ঝাড়খণ্ডের এই ঘটনা। যৌতুক নেওয়া এবং দেওয়া একটি সামাজিক কুফল যা দেশ থেকে এখনও নির্মূল করা যায়নি।
আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে পড়ল বরযাত্রীবোঝাই গাড়ি, মৃত ৫
এদিকে এই ঘটনায় কনের পরিবার ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং যৌতুক নিষেধাজ্ঞা আইনে অভিযুক্ত বরের পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে।