হুগলির জলে ভাসল 'দুনাগিরি', জেনে নিন এই রণতরীর খুঁটিনাটি
Connect with us

বাংলার খবর

হুগলির জলে ভাসল ‘দুনাগিরি’, জেনে নিন এই রণতরীর খুঁটিনাটি

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: শুক্রবার কলকাতায় এসে গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স থেকে ‘দুনাগিরি’ যুদ্ধ জাহাজের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই শিপ বিল্ডার্স থেকে ১৬ টি যুদ্ধজাহাজ এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে ১৫ টি ইন্ডিয়ান নেভির জন্য। ১টি কোস্টালগার্টের জন্য। দুনাগিরিকে তৈরি করতে ১৯২৯৩.৪৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।

এর পাশাপাশি চিন পাকিস্তানের নাম না করে রাজনাথ সিং বলেন, ”ভারতের মিত্র দেশগুলিকে আরও সহযোগিতার হাত বাড়াতে চায় ভারত। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান সকলের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক। শ্রীলঙ্কার বিপদের দিনেও ভারত সমস্ত রকম সহযোগিতা করছে। বাংলাদেশকে ও অনেক সহযোগিতা করছে। নেপালে করোনার সময় ভারত প্রচুর ওষুধ পাঠিয়েছে। ভারতের শক্তি বৃদ্ধি মানে প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রগুলি সুরক্ষিত থাকবে”।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আরও বলেন, ”ভারত মহাসাগরের চোরাচালান ড্রাগ স্মাগলিং মানব পাচার সহ বিভিন্ন অপরাধ বাড়ছে। আমাদের নৌ-বাহিনী তা মোকাবিলা করছে। নতুন এই যুদ্ধ জাহাজ দুনাগিরি নৌ বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করবে”।

Advertisement

আরও পড়ুন: রণতরীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজনাথের মুখে বাংলার ভূয়সী প্রশংসা

বাংলার প্রশংসা করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, ”এই বাংলা স্বাধীনতা সংগ্রামে বড় ভূমিকা নিয়েছিল। সাহিত্য সংস্কৃতিতেও অনেক ভূমিকা রয়েছে বাংলার। সাহিত্য সংস্কৃতি বিজ্ঞান সব ক্ষেত্রে বড় বড় মণীষীরা জন্ম নিয়েছেন এই বাংলাতেই। এই বাংলা থেকেই তৈরি হল অত্যাধুনিক এই যুদ্ধে জাহাজ। বাংলা যা আজকে হবে ভারতে তা হবে পরের দিন। বাংলার নবজাগরণ ছড়িয়ে পড়েছিল সারা ভারতবর্ষে। পৃথিবীর কাছে ভারতকে পরিচিত করিয়েছে এই বাংলা। তিনি বাংলায় বলেন আমার সোনার বাংলা।
বাংলা সংস্কৃতির কোন বিকল্প নেই। তাম্রলিপ্ত বন্দর দিয়ে বাণিজ্য শুরু হয়েছিল সারা পৃথিবীতে”।

আরও পড়ুন: Big Breaking:AIIMS-এর চাকরিতে দুর্নীতি, নীলাদ্রি শেখর দানার দুয়ারে CID

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ”বাংলাদেশকে দেখে সকলের শেখা উচিত। যেভাবে সোসিও ইকোনমিক কালচার তারা উন্নত করেছে তা প্রশংসার দাবি রাখে। ধর্মের বেড়াজাল ভেঙে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গিয়েছে। আমরা বন্ধু রাষ্ট্রের দিকে সবসময় হাত বাড়িয়ে আছি।। ভারতের শক্তি বাড়লে বন্ধু রাষ্ট্র গুলিও সুরক্ষিত থাকবে”।

 

Advertisement